জলবায়ু পরিবর্তন
২৩ ডিসেম্বর ২০১২গভর্নর আতিউর রহমান দোহার জলবায়ু সম্মেলনে বইটি উপস্থাপন করেন এবং তার ফলে সেখানে তিনি ‘গ্রিন গভর্নর' পরিচিতি পান৷ বইটির অন্যতম লেখক এডওয়ার্ড অপূর্ব সিংহ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে ‘গ্রিন ব্যাংকিং' চালু করতে বলে৷ এর আওতায় ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন শাখায় সোলার প্যানেল স্থাপন ও ব্যাংকের ভেতর আলোর ব্যবস্থা করতে জ্বালানি সাশ্রয় করে এমন এলইডি বাল্ব ব্যবহার করতে পরামর্শ দেয়া হয়৷
এ পর্যন্ত প্রায় ১৫টি ব্যাংক সীমিত পর্যায়ে হলেও গ্রিন ব্যাংকিং শুরু করেছে বলে জানান এডওয়ার্ড অপূর্ব সিংহ৷ এছাড়া আরও বেশ কিছু ব্যাংক এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে৷
শুধু তাই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার স্বার্থে গ্রহণ করা বিভিন্ন প্রকল্পে সহায়তা করছে ব্যাংকগুলো৷ যেমন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক সোলার সেচ প্রকল্পে, ট্রাস্ট ব্যাংক বায়োগ্যাস প্রকল্পে সহায়তা করছে৷ এতে যেমন অনেকের কর্মসংস্থান হচ্ছে, তেমনি পরিবেশেরও উপকার হচ্ছে৷ এছাড়া বাংলাদেশের প্রথম সোলার অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট তৈরির জন্য সহায়তা দিচ্ছে ইস্টার্ন ব্যাংক৷
তবে শুধু ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দিয়ে নয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেও গ্রিন ব্যাংকিং করছে৷ যেমন ‘অটোমেটিক ক্লিয়ারিং হাউস' আর ‘ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো' চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক৷ এর ফলে প্রয়োজনীয় কাজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাওয়ার কারণে কমে গেছে কাগজের ব্যবহার৷ আর কাগজ তৈরিতে যেহেতু অনেক গাছ কাটার প্রয়োজন পড়ে, তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাগজের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশের উপকার করছে৷
সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ