ছায়াপথে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজছেন জ্যোতির্বিদরা
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১জ্যোতির্বিদরা বলছেন, ঐসব গ্রহের মধ্যে আবার ৫০ কোটির মতো গ্রহের সঙ্গে তাদের নিকটস্থ নক্ষত্রগুলোর দূরত্ব এতটাই আদর্শ, যে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা উজ্জ্বল৷
‘অ্যামেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স' এর বার্ষিক আলোচনা সভায় বিজ্ঞানীরা বলেন, আকাশের একটি ক্ষুদ্র অংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কেপলার দেখেছে ছায়াপথের মধ্যে কতগুলো গ্রহ থাকতে পারে৷
এমাসের শুরুর দিকে নাসা বলেছে, তারা ১,২৩৫ টি সম্ভাব্য গ্রহ আবিষ্কার করেছে, যার মধ্যে ৬৮টির আকার পৃথিবীর প্রায় সমান৷ যেগুলো ১ লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশি নক্ষত্রকে পরিভ্রমণ করছে৷ সৌরজগতে পৃথিবীর মতো আর কোনো গ্রহ আছে কিনা, কেপলারের এই অভিযান পরিচালিত হয় মূলত সেকারণেই৷ এর লক্ষ্য ছিলো খুব শীত বা খুব গরম নয়, যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে এমন গ্রহের সন্ধান করা৷
২০০৯ সালে মহাকাশ গবেষণা দূরবীন কেপলার দিয়ে পৃথিবীর সমআকারের গ্রহ আবিষ্কারের জন্য কাজ শুরু করা হয়৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪৫ লাখ নক্ষত্র নিয়ে ছায়াপথে গবেষণা চালানো হবে৷ আর আগামী সাড়ে তিন বছরে এই গবেষণা চালাতে খরচ হবে ৫৯ কোটি ডলার৷ এছাড়া এক লাখ থেকে দেড় লাখ নক্ষত্রের চতুর্দিকে ঘূর্ণায়মান গ্রহের উপস্থিতি আছে কিনা তা দেখা হবে উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা দিয়ে ৷ আর একটি নক্ষত্রের চারিদিকে ঘোরার সময় গ্রহের অবস্থান পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আলোকরশ্মির পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে এই ক্যামেরাগুলো গ্রহের উপস্থিতি নির্ণয় করবে৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন