ছাত্রকে ‘প্রেমের কামড়'
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪আলোচিত নারী ১১ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন৷ চার সন্তানের মাও তিনি৷ তাঁর বিরুদ্ধে শিশু এবং অল্প বয়সিদের উপর যৌন নিপীড়নের দু-দুটি অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে৷ সিংগাপুরের ‘চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়াং পারসন্স অ্যাক্ট'-এর আওতায় শিক্ষিকার বিচার করা হয়েছে৷
আদালত থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত নারী কিশোরের ঠোঁটে চুমু দিয়েছেন এবং তার কাঁধে ও ঘাড়ে ‘লাভ বাইট' বা প্রেমের দংশন এঁকে দিয়েছেন৷ ২০১২ সালে এই কাজ করেন তিনি৷ তবে অভিযুক্ত হলেও শিক্ষিকার নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি আদালত৷
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ১৩ বছর বয়সি ঐ ছাত্রটি শিক্ষিকার ছেলের সঙ্গে একসঙ্গে ফুটবল খেলতো৷ জানা যায়, প্রথমে ছেলেটির সঙ্গে ফেসবুক চ্যাটের মাধ্যমে সখ্যতা গড়ে তোলেন জনৈকা শিক্ষিকা৷ এরপর পাবলিক পার্কে গিয়ে তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন তিনি৷ আদরের অছিলায় কিশোরের শরীরে তিনি যৌন কামনার চিহ্ন রাখেন৷ চুম্বনের সঙ্গে দাঁতের কামড় বসান ঘাড়ে৷
ছেলে বাড়ি ফিরে এলে, ঘাড়ে ‘লাভ বাইট' দেখে তার মা পুলিশের শরণাপন্ন হন৷ বিচারক নং পেং হং তাঁর রায়ে লিখেছেন, ‘‘১৩ বছর বয়সি এক ছেলের উপর এমন একজন মানুষ যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন, যিনি শিক্ষিকা৷ আমার মতে, পাবলিক পার্কে বসে ছাত্রের গায়ে ‘লাভ বাইটস' এবং তার ঠোঁটে চুমু দেয়ার সময় জিব ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষিকা অশ্লীল, যৌন এবং অগ্রহণযোগ্য আচরণ করেছেন৷''
আদালতে শিক্ষিকার পক্ষের আইনজীবী জানান, শিক্ষিকা মানসিক বিষন্নতায় ভুগছিলেন৷ বিচারক অবশ্য এই যুক্তি তেমন একটা আমলে নেননি৷
এআই/ডিজি (এএফপি, এপি)