চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর সমীক্ষায় পিছিয়ে লাশেট
১৮ জানুয়ারি ২০২১গত শনিবারেই জার্মানির ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট-সিডিইউ দলের ফেডারেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ৫৯ বছরের আরমিন লাশেট। ৫২১ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসকে হারিয়েছেন তিনি। এতদিন এই পদে ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। দলের ফেডারেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও লাশেট পরবর্তী জার্মান চ্যান্সেলরের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি মিউনিখের একটি সংস্থার সমীক্ষা বলছে, সাধারণ মানুষ তাঁকে চ্যান্সেলর হিসেবে দেখতে চাইছেন না।
২০১৭ সাল থেকে নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়ার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন লাশেট। বরাবরই তিনি চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ম্যার্কেলের নীতি সমর্থন করেন তিনি। কিন্তু মানুষ তাঁকে পরবর্তী চ্যান্সেলর হিসেবে দেখতে চাইছেন না। সমীক্ষা বলছে, মাত্র ১২ দশমিক এক শতাংশ মানুষ ল্যাশেটকে পরবর্তী চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হিসেবে ভোট দিয়েছেন। বরং অনেক বেশি জনপ্রিয় বাভারিয়ার ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন(সিএসইউ) দলের প্রধান মার্কুস স্যোডার। ৪৩ শতাংশ মানুষ স্যোডারকে পরবর্তী চ্যান্সেলর হিসেবে পছন্দ করেছেন। সমীক্ষায় নাম উঠে এসেছে বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীরও। যদিও জেনস স্পানকে সমীক্ষায় প্রতিযোগী হিসেবে রাখাই হয়নি। আট শতাংশেরও বেশি মানুষ তাঁকে পরবর্তী চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন।
আসন্ন ভোটে তিনি আর লড়বেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন ম্যার্কেল। সে কারণেই পরবর্তী ভোটে তাঁর জায়গায় শাসক জোট কাকে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হিসেবে সামনে আনে, তা নিয়ে গোটা জার্মানি জুড়েই আলোচনা চলছে। লাশেট কিংবা স্যোডার কেউই এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। বরং লাশেট সিডিইউয়ের প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পরে স্যোডার তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, এক সঙ্গে কাজ করতে উৎসাহী তিনি। তবে সেখানে কোথাও পরবর্তী চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর কথা বলা হয়নি।
লাশেটও এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। বছর কয়েক আগে রাইনে এক প্রমোদ ভ্রমণে স্যোডার এবং ম্যার্কেলের ছবি প্রকাশ করেছিল জার্মান সংবাদমাধ্যম। রাজনৈতিক মহলের একাংশ সে সময়ই বলেছিলেন, ম্যার্কেল চান স্যোডার পরবর্তী জার্মান চ্যান্সেলর নির্বাচিত হোন। অন্য দিকে লাশেটও ম্যার্কেলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ফলে আগামী দিনে কে সেই পদ পাবেন, জনমত কতটা গুরুত্ব পাবে, তা সময়ই বলবে।
এসজি/জিএইচ (ডিপিএ)