1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজউত্তর অ্যামেরিকা

চোখ হারালেন রুশদি

২৪ অক্টোবর ২০২২

চলতি বছরের গোড়ার দিকে সালমান রুশদির উপর আক্রমণ হয়েছিল। তার জেরেই একটি চোখ হারিয়েছেন তিনি। অকেজো একটি হাত।

https://p.dw.com/p/4IaL1
সালমান রুশদি
ছবি: Herbert Neubauer/AFP via Getty Images

সম্প্রতি একটি স্প্যানিশ খবরের কাগজকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সালমান রুশদির এজেন্ট। সেখানে তিনি বলেছেন, আশঙ্কামুক্ত হলেও আর আগের মতো চলাফেরা করতে পারবেন না লেখক। তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। একটি হাত কার্যত অব্যবহার্য হয়েছে। কারণ, ওই হাতের প্রায় সমস্ত নার্ভ কেটে গেছে। এছাড়াও তার গলায় এবং বুকে ভয়াবহ ক্ষত আছে। যে কোনো সময় যা থেকে সমস্যা তৈরি হতে পারে। শুধু বুকেই ১৫ টি ক্ষত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রুশদি কোথায় আছেন, এবিষয়ে তিনি একটিও মন্তব্য করবেন না বলে সাংবাদিকদের জানান তার এজেন্ট। তবে তিনি জানিয়েছেন, রুশদি এখনো হাসপাতালে ভর্তি। প্রাণহানির আর কোনো আশঙ্কা নেই।

অ্যামেরিকার বাফেলো শহর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে লেক এরির পাশে বক্তৃতা করতে গেছিলেন রুশদি। সেখআনেই স্টেজের উপর তার উপর ভয়বাহ হামলা হয়। ঘটনাস্থলেই পড়ে যান রুশদি। তৎক্ষণাফৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আটক করা হয় অভিযুক্তকে।

২৪ বছরের ওই অভিযুক্তের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জন্মসূত্রে লেবাননের ওই যুবকের বাড়ি অ্যামেরিকার নিউ জার্সিতে। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হলেও আদালতে ওই ব্যক্তি দোষ স্বীকার করেননি। যদিও ঘটনার পরেই এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই যুবক বলেছিলেন, এতবার মারার পরেও রুশদি মারা যাননি দেখে তিনি অবাক। ইরানের সর্বোচ্চ শাসকের প্রতি নিজের সম্মান জানিয়ে তিনি বলেছেন, রুশদির বই তিনি পছন্দ করেন না। তা ইসলামবিরোধী বলে তিনি মনে করেন। স্যাটানিক ভার্সের কয়েকপাতা তিনি পড়ে দেখেন বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।

১৯৮৯ সালে রুশদির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ ওঠে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা তার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেন। রুশদির মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হয়। কড়া নিরাপত্তার অন্তরালে চলে যান রুশদি। এরপর বহু বছর কেটে গেছে। রুশদি নিরাপত্তা কমিয়েছেন। গত কয়েক দশক ফের প্রকাশ্যে বার হতে শুরু করেছিলেন তিনি। নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে।

তার এজেন্ট জানিয়েছেন, বরাবরই রুশদি এবং তার ভয় ছিল, এমনভাবে কখনো হামলা হবে, যেখানে আততায়ীকে চেনাই যাবে না। আচমকাই হামলা হবে তার উপর। বাস্তবেও ঠিক তা-ই ঘটল।

এসজি/জিএইচ (এপি, এএফপি, রয়টার্স)