চীনের বিরুদ্ধে একজোট অ্যামেরিকা-ইইউ
৩ ডিসেম্বর ২০২১দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ান প্রণালীতে চীন যেভাবে একতরফা কার্যকলাপ করছে, তানিয়ে উদ্বিগ্ন অ্যামেরিকা ও ইইউ। ওয়াশিংটনে অ্যামেরিকা ও ইইউ একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেখানেই চীনের কার্যকলাপ নয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন যা করছে, তাতে এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এরপর অ্যামেরিকার ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেটের সঙ্গে ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের সেক্রেটারি জেনারেল আলোচনায় বসেন। সেখানে চীনের উইগুর ও তিব্বতের জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিয়ে কথা বলেছেন তারা। হংকং-এর স্বশাসন এবং কূটনৈতিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়েও কথা হয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ইইউ
ইইউ মিলিটারি স্টাফের ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, ইইউ ও অ্যামেরিকার মধ্যে সহযোগিতা আরো বাড়ানোর জায়গা আছে। দক্ষিণ চীন সাগরে বেজিং একতরফা ব্যবস্থা নিচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক আইন যাতে মানা হয়, সেটা দেখা দরকার।
তিনি বলেছেন, ফ্রান্স হলো প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় বড় শক্তি। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক এই অঞ্চল নিয়ে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নিউ ক্যালিডোনিয়া সহ বেশ কিছু দেশের প্রশাসন ফ্রান্সের হাতে। গতবছর স্বাধীনতার দাবি নিয়ে নিউ ক্যালিডোনিয়ায় গণভোট হয়েছিল। কিন্তু সেই দাবি গণভোটে খারিজ হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ছোট দ্বীপরাষ্ট্র ফ্রান্সের অধিকারে আছে। তাই দক্ষিণ চীন সাগরে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চায় ইইউ।
ইইউ-র সামরিক কর্তা জানিয়েছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে ইইউ একটি মেরিটাইম এরিয়া অফ ইন্টারেস্ট তৈরি করতে চায়। অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে গালফ অফ গিনিতে ইইউ-র উপস্থিতি আছে। সেখানে এরকম একটি পাইলট প্রজেক্ট চলছে। দক্ষিণ চীন সাগরে একই ধাঁচে কাজ করতে চায় ইইউ।
কেন উদ্বেগ
তাইওয়ান নিয়ে এখন অ্যামেরিকা ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। গত মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, তারা ঠান্ডা যুদ্ধের উত্তেজনা চান না। বাইডেন বলেছেন, তাইওয়ানকে সুরক্ষা দেয়ার ব্যাপারে অ্যামেরিকা দায়বদ্ধ।
বেজিং দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের উপস্থিতি আরো বাড়াতে চাইছে। এই এলাকা নিয়ে চীন ছাড়াও ফিলিপাইন্স, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার দাবি রয়েছে। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার দুইটি নৌকাকে ওই এলাকায় ঢুকতে দেয়নি চীন।
২০১৬ সালে পার্মানেন্ট কোর্ট অফ আরবিট্রেশন রায় দেয়, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের অধিকাংশ দাবিই বেআইনি।
জিএইচ/এসজি (রয়টার্স)