চীনের এজি৬০০: বিশ্বের বৃহত্তম অ্যাম্ফিবিয়াস বিমান
চীনের এজি৬০০ বিমান ‘কুনলং’ ৩৭ মিটার লম্বা এবং পাখার দৈর্ঘ্যসহ এর বিস্তার ৩৮ দশমিক ৮ মিটার৷ দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের সামরিক শক্তিমত্তা দেখাতেই এই বিমানটি তৈরি করেছে চীন৷ বিমানটি সম্পর্কে বিস্তারিত ছবিঘরে৷
সফল পরীক্ষা
এজি৬০০ বিমানটির আকার অনেকটা বোয়িং ৭৩৭ এর সমান৷ এর দৈর্ঘ্য ৩৭ মিটার এবং পাখার দৈর্ঘ্যসহ এর বিস্তার ৩৮ দশমিক ৮ মিটার৷ ২০১৭ সালে ডিসেম্বরের ২৪ তারিখে এটি ঝুহাই বিমানবন্দর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংডং প্রদেশে এক ঘণ্টা সফলভাবে উড়েছে৷ গুয়াংডং প্রদেশ দক্ষিণ চীন সাগরের খুব কাছে অবস্থিত৷ এ পর্যন্ত এজি৬০০ এর বিক্রির অর্ডার এসেছে ১৭টি৷
বৃহত্তম অ্যাম্ফিবিয়াস বিমান?
যদিও এই বিমানটিকে বিশ্বের বৃহত্তম অ্যাম্ফিবিয়াস বিমান বলা হচ্ছে৷ কিন্তু বিলিওনেয়ার হাওয়ার্ড হিউসের ফ্লাইং বোট ‘স্প্রুস গুজ’ লম্বায় ৬৭ মিটার এবং পাখাসহ বিস্তার ৯৭ মিটার৷ কিন্তু ‘স্প্রুস গুজ’ ১৯৪৭ সালে কেবল একবার উড়েছিল৷
সামরিক এবং বেসামরিক ব্যবহার
বিমানটি তৈরি হতে সময় লেগেছে আট বছর৷ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের দাবি, এজি৬০০ প্রাথমিকভাবে দাবানল এবং সমুদ্রে উদ্ধারকাজে ব্যবহার হবে৷ যদিও এই বিমানে সামরিক সব ধরনের ‘অ্যাপ্লিকেশন’ আছে৷
দক্ষিণ চীন সাগর
এজি৬০০ চীনের বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরকে তাদের আওতার মধ্যে এনে দিয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি ‘থিংকট্যাংক’ গত সপ্তাহে জানিয়েছে, বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপে বিমান ও নৌ-ঘাঁটির জন্য নতুন কাঠামো তৈরি করছে৷
সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ
এজি৬০০-এর সফল পরীক্ষা চীনের সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছে৷ এ বছরের শুরুতে চীন নিজেদের তৈরি প্রথম বিমান টাইপ ০০১এ উদ্বোধন করেছিল৷ স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর তথ্য অনুযায়ী, চীন ২০১৬ সালে সামরিক খাতে ২১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে, যেখানে ভারত ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং জাপান ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে৷