করোনা-মৃত্যুর হার সার্সকেও ছাড়ালো
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০করোনা ভাইরাসের কারণে সোমবার আরো ৫৭ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন৷ ২০০২-২০০৩ সালে চীনে ছড়িয়ে পড়ে সার্স ভাইরাস, যার ফলে মারা যান ৩৪৯ জন৷ করোনা ভাইরাসের ছোবল ইতিমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে ভয়ানক সার্সের মৃত্যুকে৷
কমিশন জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরো দুই হাজার ৮২৯ জন৷ এখন পর্যন্ত, চীনে এই ভাইরাসের কবলে মোট ১৭ হাজার ২০৫ জন৷ সারা বিশ্বে করোনা-আক্রান্তদের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩০০৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও (হু) জানিয়েছে, এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে৷ তারা বলছে এখনও সম্ভাব্য করোনা-আক্রান্ত কয়েক হাজার স্পেসিমেনের পরীক্ষা হওয়া বাকি, যা নিশ্চিত হলে বাড়বে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তদের সংখ্যা৷
গোটা বিশ্বে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়া করোনা-আতঙ্কের আঁচ এসে পড়ছে চীনের শেয়ার বাজারেও৷ ফলে, আগের চেয়ে ৯ শতাংশ নেমেছে চীনা শেয়ারের দাম৷
চীনের উহান অঞ্চলে প্রথম এই ভাইরাস দেখা যাওয়ার পর তা ছড়িয়েছে দেশের আরো ১৪টি শহরে৷ আপাতত পুরোপুরি গৃহবন্দি রয়েছেন সেই অঞ্চলের বাসিন্দারা৷
চীনের বাইরেও করোনার ছোবল
চীনের বাইরে ফিলিপাইনসে প্রথম ছড়ায় এই ভাইরাস৷ এরপর থেকে করোনার শিকার হয়েছেন জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ড, ইসরায়েল, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ইটালি, সুইডেন, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, স্পেনের বাসিন্দারা৷ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন ভারতীয়ও৷
এদিকে, করোনা সংক্রমণ বিষয়ে সচেতনতা ছড়াতে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা হু। বৃহস্পতিবার সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল বিবৃতি দিয়ে জানান, করোনা যাতে পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্যই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও জারি হয়েছে নাগরিক স্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা৷ চীন থেকে বিদেশি নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশেকড়া বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে৷
এসএস/কেএম (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)