1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনা কম্যান্ডিং অফিসারেরও মৃত্যু?

২২ জুন ২০২০

সোমবার আবার আলোচনায় বসেছেন ভারত ও চীনের লেফটানান্ট জেনারেল পর্যায়ের সেনা অফিসাররা। পূর্ব লাদাখে চীনের এলাকা চুশুলে এই বৈঠক হচ্ছে।

https://p.dw.com/p/3e9KR
ছবি: Reuters/PLANET LABS INC

লাদাখের সংঘর্ষে তাঁদের কম্যান্ডিং অফিসারের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করল চীন। সেনা সূত্র উদ্ধৃত করে এই খবর দিয়েছে এনডিটিভি ও আনন্দবাজার। এতদিন চীনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদক লাদাখে চীনের তরফে হতাহতের কথা বললেও কোনও সংখ্যা জানাননি। চীনের থেকেও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। এই অবস্থায় চুশুলের আলোচনায় প্রথমবার চীন তাঁদের কম্যান্ডিং অফিসারের মৃত্যুর কথা স্বীকার করল বলে দাবি করা হয়েছে। 

লাদাখের সংঘর্ষে ভারতের বিহার রেজিমেন্টের কম্যান্ডং অফিসার কর্নেল সন্তোষ বাবু সহ ২০ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭৬ জন। তাঁরা সকলেই ভালো আছেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আবার কাজে যোগ দেবেন। 

ভারত-চীনসেনার রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর মেজর জেনারেল স্তরে বৈঠক হয়েছিল। দুই বার বৈঠকেও অচলাবস্থা কাটেনি। ফলে এ বার লেফটানান্ট জেনারেল পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে।  গত ৬ জুন লেফটানান্ট পর্যায়ে শেষ বার আলোচনা হয়েছিল। সেখানে ঠিক হয়, দুই পক্ষই তাঁদের অবস্থান থেকে কিছুটা পিছিয়ে যাবে। কিন্তু তারপরেও সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবারের বৈঠকে গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো লেক, ফিঙ্গার পয়েন্ট এক থেকে আট সহ অনেক বিষয়ই আলোচনায় উঠতে পারে। গালওয়ানে দুই দেশের সেনার রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তবে ভারত অবশ্য লাদাখে সেনা ও বিমান বাহিনীর উপস্থিতি আরও বাড়াচ্ছে। সূত্র জানাচ্ছে, কাশ্মীর থেকে ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিশ বা আইটিবিপির কয়েকটি ব্যাটেলিয়ান সরিয়ে লাদাখে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পির পাঞ্জাল ও আখনুর থেকেও মোতায়েন বাহিনীর একাংশ লাদাখে নেওয়া হতে পারে।  শিখ রেজিমেন্টের ব্যাটেলিয়ানও লাদাখ পাঠানো হচ্ছে।

ভারতের হিসাব, চীন ১০ হাজারের মতো সেনা মোতায়েন করেছে লাদাখ সীমান্তে। ভারতও তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সেনা বাড়াচ্ছে।  বিমান বাহিনীর যুদ্ধজাহাজও লে থেকে মাঝে মাঝে উড়ছে। এ সবই প্রস্তুতির অঙ্গ। সামরিক হেলিকপ্টারকেও লে থেকে উড়তে দেখা যাচ্ছে। আলোচনা চালাবার পাশাপাশি, ভারত নিজের প্রস্তুতির বার্তাও দিতে চাইছে।  

জিএইচ/এসজি(এএনআই, পিটিআই, এনডিটিভি, আবাপ)