1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিকিৎসা না রাজনীতি; আইন না মানবিকতা?

প্রভাষ আমিন
২৬ নভেম্বর ২০২১

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, বেশ গুরুতর অসুস্থ৷ তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন৷ বেগম খালেদা জিয়ার বয়স ৭৬৷

https://p.dw.com/p/43Wz4
ছবি: bdnews24.com

পুরোনো আর্থরাইটিসের সমস্যা তো আছেই, সাথে যুক্ত হয়েছে হার্ট, লিভার এবং কোভিড পরবর্তী নানা জটিলতা৷ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসাই এখন বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে আলোচিত বিষয়৷ তবে একজন অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার সাথে চিকিৎসার চেয়ে রাজনীতি, আইন, মানবিকতা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি৷ বিএনপি অনেকদিন ধরেই বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার দাবি করে আসছে৷ কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আইনের বাধার কথা বলে এ ব্যাপারে এখনও কোনো ইতিবাচক সাড়া আসেনি৷

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সত্যি সত্যি কেমন, তা নিযে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়ে গেছে৷ এখন পর্যন্ত যারা তার চিকিৎসা করছেন, সেই ডাক্তারদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্রিফিং পাওয়া যায়নি৷ বিএনপি নেতারা যেটা বলছেন, তার ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে৷ খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন বলেন ‘খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যু সন্ধিক্ষণে', তখন আমরা একটু শঙ্কিত এবং বিভ্রান্ত হয়ে যাই৷ যতটুকু জানি, খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)তে চিকিৎসাধীন আছেন৷ তাকে রক্ত দিতে হচ্ছে, তবে অক্সিজেন ছাড়াই তিনি চলতে পারছেন৷ তিনি নিজ কেবিনে হেঁটে চলাফেরা করতে পারছেন৷ তাই তিনি গুরুতর অসুস্থ হলেও ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’ এটা বোধহয় চিকিৎসকদের ভাষায় পুরোপুরি সঠিক নয়৷ সাধারণত কেউ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট হয়ে লাইফ সাপোর্ট বা ভেনটিলেশনে গেলেই তাকে ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে' বলা যায়৷ আমরা কামনা করি বেগম খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি তেমন না হোক, দ্রুতই তিনি সুস্থ হয়ে উঠুন৷

বেগম খালেদা জিয়া এখন যেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন, সেই এভারকেয়ার হাসপাতাল (সাবেক অ্যাপোলো হাসপাতাল) বেসরকারি হাপসপাতালের মধ্যে বাংলাদেশের সেরা৷ এর আগে কারাগারে থাকার সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা পেয়েছেন৷ সরকারি পর্যায়ে সেটিই বাংলাদেশের সেরা হা্সপাতাল৷ তার মানে এটা মানতেই হবে, তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসাই তিনি পাচ্ছেন৷ বিএনপি যখন বারবার বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়ার দাবি করেন, তখন তাদেরও মানতেই হবে, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নত নয়৷ বিএনপিও দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিল, বেগম জিয়াও তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন৷ তাই চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানের করতে না পারার ব্যর্থতার দায় কিছুটা হলেও বিএনপিকে নিতে হবে৷ বিএনপি ১৫ বছর আগে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানের করেনি, সে অপরাধে বেগম জিয়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাবেন না; এটা কোনো কাজের কথা নয়৷

বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার প্রসঙ্গ এলেই সবাই আইনের কথা বলেন৷ সরকারি দল বলে, আইনে কোনো সুযোগ নেই৷ বিরোধী দল বলে, আইনেই করা সম্ভব৷ অনেকে এটাও বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে৷ কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতা হলো, আইনের নিজের কোনো গতি নেই৷ কর্তার ইচ্ছায় কর্ম৷ আইন যদি নিজস্ব গতিতেই চলতো, তাহলে বেগম জিয়াকে এখনও কারাগারে বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালেই থাকতে হতো৷ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বাসায় রেখে চিকিৎসা করতে দিচ্ছি, এটাই কি বেশি নয়? প্রধানমন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্নে কিছুটা উষ্মা হয়তো আছে৷ কিন্তু একেবারে ভুল তো নেই৷ প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন বলেই তো খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার সুযোগ দেয়া হয়েছে৷ আইন নিজের গতিতে চললে, বেগম খালেদা জিয়াকে একাই কারাগারে থাকতে হতো৷ কিন্তু আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েই তার সাথে ফাতেমাকেও বিনা অপরাধে কারাভোগ করতে হয়েছে৷ বিএনপিও এটা জানে, তাই তারা আইনের চেয়ে মানবতার কথাই বেশি বলছে৷ খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে বিএনপি রাজপথে নানা কর্মসূচি পালন করছে বটে৷ কিন্তু তারাও জানে আন্দোলন করে দাবি আদায় করার সক্ষমতা তাদের নেই৷ তাই তারা সরকারের কাছে মানবিকতার প্রত্যাশাটাই বারবার করছেন৷

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিপক্ষে বেশকিছু অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আপনাকে যদি কেউ হত্যার চেষ্টা করত, আপনি কি তাকে গলায় ফুলের মালা দিয়ে নিয়ে আসতেন?' প্রধানমন্ত্রী যা যা অভিযোগ করেছেন, তার কোনোটাই কিন্তু অসত্য নয়৷ সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে বিএনপি বা এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সরাসরি সম্পৃক্ততা প্রমাণিত না হলেও এর প্রধান সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমানই৷ বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়ই বিএনপির জন্ম৷ বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করা, চাকরি দেয়া, এমনকি খুনীদের বিচারের পথ বন্ধ করে প্রণীত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করার দায় বিএনপির৷ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করলেও বিএনপি ক্ষমতায় এসে পাঁচবছর পুরো মামলাটি ডিপ ফ্রিজে পাঠিয়ে দিয়েছিল৷ বঙ্গবন্ধুর খুনীকে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসানোর দায়ও খালেদা জিয়াকেই নিতে হবে৷ ১৫ আগস্ট জাতির শোকের দিনে ঘটা করে বেগম জিয়ার জন্মদিন উদযাপনের অসংবেদনশীলতাও মানুষ ভুলে যায়নি৷ সবচেয়ে বড় কথা হলো ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা হয়েছিল রাষ্ট্রযন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতায়৷ তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া৷ তাই শেখ হাসিনার ক্ষোভের জায়গাটি বুঝতে আমাদের অসুবিধা হয় না৷ কিন্তু ক্ষোভ দিয়ে সরকার চলবে না৷ তাছাড়া বিএনপি বা খালেদা জিয়া অতীতে অমানবিক আচরণ করেছিলেন বলেই, এখন সুযোগ পেয়ে তার পাল্টা প্রতিশোধ নিতে হবে, এমনটাও কাজের কথা নয়৷ তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইবো কেন? তাছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা যা যা অভিযোগ সবই কিন্তু ২০০৬ সালের আগের৷ এরপরও আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর শোকাতুর মা বেগম খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে গুলশানে ছুটে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সেখানে কেউ ছিল না৷ এমনকি গুলশান অফিসের গেটও খোলা হয়নি৷ এরপরও শেখ হাসিনা আগ বাড়িয়ে বেগম জিয়াকে ফোন করেছিলেন৷

শেখ হাসিনার অনেক সমালোচনা আছে৷ কিন্তু মানবিকতার প্রশ্নে তার বিরুদ্ধে সমালোচনার খুব বেশি জায়গা নেই৷ গত নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দল নিয়ে গণভবনে গিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷ শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে তার চিকিৎসার খোঁজ নিয়েছিলেন৷ শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ-অগুরুত্বপূর্ণ অনেকের চিকিৎসায় পাশে দাড়িয়েছেন৷ বিএনপি সমর্থক হিসেবে পরিচিত অনেক বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতি কর্মীর চিকিৎসার ব্যাপারেও শেখ হাসিনা উদার ছিলেন৷ তাই বেগম জিয়ার বিষয়টিও তিনি নিশ্চয়ই মানবিকভাবেই বিবেচনা করবেন৷ পত্রিকায় দেখেছি, বেগম জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি শেখ হাসিনা নিবিড়ভাবে খোঁজ রাখছেন৷ মির্জা ফখরুল যাই বলুন, বেগম খালেদা জিয়ার যখন সত্যি সত্যি উন্নত চিকিৎসা লাগবে, তখন হয়তো আইন বা রাজনীতি সেখানে বাধা হয়ে দাড়াবে না৷ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আইনি বাধা দূর করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা৷ পিতার হত্যাকারীদের প্রতিও কিন্তু কোনো প্রতিহিংসা দেখাননি৷ দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করেননি৷ সাধারণ গতিতে বিচার হয়েছে৷ সেই বিচার শেষ করে, সব ধাপ অতিক্রম করে রায় কার্যকর করতে শেখ হাসিনাকে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসতে হয়েছিল৷

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তার নির্বাহী ক্ষমতায় যতটুকু করার তিনি করেছেন৷ বাকিটুকু আদালতের বিষয়৷ আইনমন্ত্রীও বারবার বলছিলেন, আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ তার নেই৷ কিন্তু সর্বশেষ যখন বিএনপিপন্থি আইনজীবী নেতারা বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন নিয়ে আইনমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন, তখন কিন্তু তিনি তাদের একেবারে ফিরিয়ে দেননি, পরীক্ষা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন৷ সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির যে কোনো আন্দোলনের ব্যাপারে সরবার ‘জিরো টলারেন্স’ নিয়ে মাঠে৷ কিন্তু বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে তারা ধারাবাহিক আন্দোলন করতে পারছে, অনেকটা নির্বিঘ্নেই৷ এটাও অনেকটা নমনীয়তারই ইঙ্গিত দেয়৷

১৯৭৯ সালের সংসদে বিএনপির আসন ছিল ২০৭টি৷ আর আওয়ামী লীগের দুই অংশ মিলে ছিল ৪১টি৷ তখন সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বিএনপি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তরিত করেছিল৷ তখন আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী সংসদে বলেছিলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতার বড়াই কইরেন না৷ ২০৭ একদিন ৭ হয়ে যেতে পারে৷ তখন বুঝবেন গণতন্ত্র কত দরকার৷’ মাত্র চার দশকে মিজান চৌধুরীর সে আশঙ্কা সত্যি হয়েছে৷ বিএনপির আসন এখন ৭ এরও কম৷ তবে ১৯৭৯ সালে যেমন গণতন্ত্র দরকার ছিল, ২০২১ সালেও তেমনই দরকার৷ গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই৷

অনেকে বলছেন, বেগম জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিলে, সেখানে মা-ছেলে মিলে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবেন৷ কিন্তু প্রথম কথা হলো, বেগম জিয়ার যা বয়স এবং তার শারীরিক যে অবস্থা তাতে তার ষড়যন্ত্র করার ইচ্ছা থাকলেও সক্ষমতা নেই৷ তার চেয়ে বড় কথা হলো, ডিজিটাল বিশ্বে এখন আর ষড়যন্ত্র করার জন্য একত্রিত হওয়ার দরকার নেই৷  

প্রভাষ আমিন, সাংবাদিক
প্রভাষ আমিন, সাংবাদিকছবি: DW/S. Hossain

বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য বিএনপি মাঠে এবং মাঠের বাইরে বেশ তৎপর হলেও সত্যি সত্যি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের অত আন্তরিক মনে হচ্ছে না৷ সরকার আগেই বলেছে, বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়া না হলেও বিদেশ থেকে ডাক্তার আনতে কোনো বাধা নেই৷ কিন্তু বিএনপি বা বেগম জিয়ার পরিবার তেমন কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন বলে আমরা শুনিনি৷ বিদেশ থেকে ডাক্তার না আনলেও এখন অনলাইনেই বিশ্বের সেরা সব ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া সম্ভব৷ এমনকি ভিডিও কনফারেন্সে দেশে-বিদেশে মিলে মেডিকেল বোর্ড গঠনও অসম্ভব নয়৷ তাই সরকারের কাছে আবেদন করার আগে বিএনপির উচিত বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করা৷ সেটা করার চেয়ে তাদের রাজনীতিতেই বেশি আগ্রহী মনে হচ্ছে৷ বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে যে দন্ড চাইলে বিএনপি বা তার পরিবার রাষ্ট্রপতির কাছে মার্জনাও চাইতে পারেন৷ কিন্তু সেটা করতে হলে, বেগম জিয়াকে অপরাধ স্বীকার করে নিতে হবে৷ রাজনৈতিকভাবে বিএনপির জন্য ভালো নাও হতে পারে, এই বিবেচনায় কিন্তু সেটাও তারা করেনি৷

রাজনীতির কথাই যখন এলো, তখন বলি, আমার ধারণা বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোটাই আওয়ামী লীগের জন্য রাজনৈতিকভাবে ভালো হবে৷ কারণ সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও যদি দেশে কোনো অঘটন ঘটে যায়, তাহলে আওয়ামী লীগকে সারাজীবন এর রাজনৈতিক দায় বহন করতে হবে৷ বরং বিদেশে যেতে দিলে সরকারের আর কোনো দায় থাকবে না৷ তবে আমি শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস করি, আইন, রাজনীতি সবকিছুর ওপরে মানবতার জয় হবে৷ দেশে বা বিদেশে উন্নত চিকিৎসায় বেগম খালেদা জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এটাই প্রত্যাশা৷