1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিকিৎসকের সবুজ সংকেত ও সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় খালেদা

৭ মে ২০২১

বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দেয়া হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত শনিবার নেয়া হবে বলে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/3t7Gq
ফাইল ছবি৷ছবি: bdnews24

অন্যদিকে অবশেষে পাসপোর্ট নবায়ন হলেও চিকিৎকরা মনে করছেন, শারীরিক অবস্থার কারণে খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা এখন ঝুঁকিপূর্ণ৷
শুক্রবার বিকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ডয়চে ভেলেকে বলেন‚‘‘খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে তার পরিবারে আবেদন বিবেচনা করতে আমরা দেরি করবো না৷ কালকেই (শনিবার) এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷''

গত বছরের ২৫ মার্চ দুর্নীতির মামলার সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়৷ তবে শর্ত ছিল তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না৷ আইনমন্ত্রী বলেন, ‘‘তাই তার বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে৷''
একদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার আবেদনের ব্যাপারে সরকার ইতিবাচক৷ তাই তার পাসপোর্ট নবায়ানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ দ্রুত করার জন্য তার ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়ার প্রক্রিয়াও বাদ দেয়া হয়েছে৷ খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারি এবিএম আব্দুস সাত্তার শুক্রবার সন্ধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নবায়ন হয়ে গেছে৷ আমাদের হাতে আসেনি৷ তবে প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে৷ আমাদের জানানো হয়েছে, পাসাপোর্ট রেডি আছে, যে-কোনো সময় পাসপোর্ট দেয়া হবে৷’’

২০১৯ সালে খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়৷

‘তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে’

তাকে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে৷ তবে তার চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. আব্দুস শাকুর খান বলেন, ‘‘আমরা এখনো খালেদা জিয়ার দীর্ঘ সময় বিমান ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি৷’’

তিনি জানান, শ্বাস কষ্টের কারণে পাঁচ-ছয় দিন ধরে খালেদা জিয়াকে এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে রাখা হয়েছে৷ শুরুতে তার অবস্থা স্থিতিশীল ছিল৷ পরশু (বুধবার) থেকে তার শ্বাসকষ্ট আবার বেড়ে যায়৷ ফুসফুসে পানি জমে যায়৷ তা কমিয়ে দেয়ার পর তার অবস্থা আবার স্থিতিশীল৷ তারপরও তার প্রতিদিন দুই থেকে চার লিটার অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে৷ এছাড়া তার আগে থেকেই আরো অনেক শারীরিক সমস্যা আছে৷
তিনি বলেন, সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে কিভাবে পাঠানো হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে৷ তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স অথবা চাটার্ড বিমানে করে পাঠানো হতে পারে৷ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাপনা প্রটোকল অনুযায়ী করা হয়৷
ডা. শাকুর বলেন, ‘‘তবে আমরা এখন পর্যন্ত মনে করি, তার যে ধরনের শারীরিক সমস্যা আছে তাতে দীর্ঘ বিমান যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হবে৷ সব অনুমতি হয়ে গেলে আমরা আবার তার শারীরিক ফিটনেস দেখে আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবো৷ তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেয়ার সব প্রক্রিয়া তার পরিবারের সদস্যরা করছেন৷’’

‘খালেদা জিয়ার প্রতিদিন ২ থেকে ৪ লিটার অক্সিজেন দরকার হয়’

খালেদা জিয়ার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় ১১ এপ্রিল৷ এরপর ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয়বার পরীক্ষায়ও তিনি করোনা পজিটিভ হন৷ শুরুতে বাসায় চিকিৎসা চললেও অবস্থার অবনতির কারণে ২৭ এপ্রিল তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷

৬ মে (বৃহস্পতিবার) তিনি করোনামুক্ত হন৷ টেস্টে নেগেটিভ আসে৷ তবে ডা. শাকুর জানান, ‘‘তিনি এখন করোনামুক্ত হলেও তার পোস্ট কোভিড ধকলটা অনেক বেশি যাচ্ছে৷’’
এবিএম আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘‘পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর খালেদা জিয়ার ভিসার জন্য আবেদনের প্রশ্ন আসবে৷ এটা তার পরিবারের সদস্যরাই দেখছেন৷ আর বিদেশে পাঠানোর অনুমতি তো এখনো পাওয়া যায়নি৷ ওই অনুমতির ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে৷’’