চার বছর আগের টুইট, দিল্লিতে সাংবাদিক গ্রেপ্তার
২৮ জুন ২০২২অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রতীক সিনহা বলেছেন, ''যুবায়েরকে পুলিশ একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকেছিল। কিন্তু অন্য একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্মীয় ভাবনাকে আহত করা এবং সমাজে শত্রুতা তৈরির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।''
২০১৮ সালের মার্চে যুবায়ের একটি টুইট করেন। সেই টুইট নিয়ে এই মাসে দিল্লি পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ জমা পড়ে। সেখানে অভিযোগ করা হয়, ২০১৮ সালের মার্চের টুইটে যুবায়ের একটি ধর্মের দেবতাদের ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করার জন্য বিতর্কিত ছবি পোস্ট করেন।
কিন্তু প্রতীক সিনহা জানিয়েছেন, যুবায়েরকে ২০২০ সালের একটি অন্য মামলার সূত্রে ডেকে পাঠিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। ওই মমলায় আদালতের নির্দেশ আছে যে, যুবায়েরকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। নতুন অভিযোগের ক্ষেত্রে নোটিস দেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোনো নোটিস দেয়া হয়নি। এফআইআরের কপিও বারবার চেয়ে পাওয়া যায়নি।
এনডিটিভি জানাচ্ছে, পুলিশ স্বীকার করেছে, তারা যুবায়েরকে অন্য মামলায় প্রশ্ন করার জন্য ডেকেছিল। কিন্তু নতুন মামলায় যথেষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মঙ্গলবার তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হবে।
২০২০ সালের মামলায় অভিযোগ হলো, যুবায়ের একজন মেয়েকে হেনস্থা করেছেন। যুবায়ের টুইটারে একজনের ছবি পোস্ট করেছি্লেন, যিনি অনলাইনে খুব খারাপ ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। ওই ব্যক্তির প্রোফাইল-ছবি তিনি নিয়েছিলেন। সেখানে ওই ব্যক্তির সঙ্গে নাতনির ছবিও ছিল। যুবায়ের নাতনির মুখ ব্লার করে দিয়েছিলেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই কোর্টে জানিয়েছে, যুবায়েরের এক্ষেত্রে কোনো অপরাধ নেই।
পুলিশ জানিয়েছে, যুবায়ের ২০১৮-তে যে টুইটটি করেছিলেন, তা চরম উসকানিমূলক। এই টুইটে যুবায়ের লিখেছিলেন, ''২০১৪-র আগে হানিমুন হোটেল, ২০১৪-র পর, হনুমান হোটেল।'' এই টুইটের সঙ্গে ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের 'কিসিসে না কহনা'-র একটি ফ্রেম শেয়ার করেছিলেন।
গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়া
যুবায়েরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করে রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেছেন, ''একটি সত্যের গলা রুদ্ধ করে দেয়ার পর এরকম হাজারো সত্যের গলা সোচ্চার হবে।''
শশী থারুর বলেছেন, ''বর্তমানে ইচ্ছাকৃত ভুল খবর প্রচারের যুগে অল্টনিউজের মতো ফ্যাক্ট চেকিং প্ল্যাটফর্ম খুবই জরুরি কাজ করছে। তারা মিথ্যাকে ধরছে। যুবায়েরকে গ্রেপ্তার করাটা সত্যের উপর আঘাত। তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।'' আরেক কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ বলেছেন, ''অল্ট নিউজ সরকারের মিথ্যা দাবির কথা ফাঁস করছিল বলে দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলো।''
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন টুইট করে বলেছেন, ''যুবায়ের প্রতিদিন বিজেপি-র ফেকনিউজকে সামনে আনছেন। তাকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা করছি।''
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এনডিটিভি)