চলচ্চিত্রের পর্দায় শিল্পীর তুলি
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬‘‘আমাদের ছবিই আমাদের কথা বলবে'' – ভিনসেন্ট ফান গখ মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে নাকি এই বাক্য লিখেছিলেন৷ ‘লাভিং ভিনসেন্ট' নামের ছবির নির্মাতারা তাঁর সেই উক্তি আক্ষরিক অর্থেই গ্রহণ করেছেন৷ ৬০,০০০-এরও বেশি ছবি দিয়ে এই অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়েছে৷ প্রতিটি ছবি হাতে আঁকা৷ এত বড় আকারে এমন কোনো প্রকল্প কখনো চালানো হয়নি৷ ছবির প্রযোজক শন ববিট বলেন, ‘‘কাজটা মোটেই সহজ ছিল না৷ লগ্নিকারীদের বোঝানো কঠিন কাজ ছিল৷ যখন বললাম আমরা ছবি এঁকে চলচ্চিত্র তৈরি করছি, তখন প্রশ্ন উঠলো কম্পিউটারে করছো না কেন৷ কিন্তু ঘটনা হলো, কম্পিউটারে অবশ্যই এটা করা যায়৷ কিন্তু বড় পর্দায় তার তুলনা হয় না৷ তাছাড়া ফান গখ-এর অঙ্কনশৈলি অত্যন্ত পরিচিত৷ মানুষ তাঁর চোখ দিয়েই জগতটা দেখার সুযোগ পাচ্ছেন৷''
শিল্পীরা তিনটি বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন৷ সবচেয়ে বড় কাজ চলছে পোল্যান্ডের গেডানস্ক শহরে৷ গোটা বিশ্বের প্রায় ৫,০০০ মানুষ এই প্রকল্পে কাজ করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন শিল্পী পরীক্ষায় পাশ করেন৷ তারপর তিন সপ্তাহের ইন্টেনসিভ কোর্স৷ তাতে ফান গখ-এর শৈলিতে আঁকা শেখানো হয়৷
মেক্সিকোর শিল্পী মায়রা অ্যারনান্দেস রিয়োস প্রশিক্ষণের শেষ সপ্তাহে পৌঁছে গেছেন৷ ২৬ বছর বয়স্ক এই শিল্পীর কাছে এই প্রকল্পে অংশ নেওয়ার সুযোগ বিশাল এক সম্মান৷ তবে কাজটা বেশ কঠিন৷ মায়রা বলেন, ‘‘আমার কাছে সঠিক রং খুঁজে পাওয়া এবং বিভিন্ন ছবির জন্য তা ব্যবহার করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ হয়তো তা দিয়ে ২০০ ফ্রেম তৈরি হবে৷''
প্রথমে অভিনেতা সহ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হয়৷ তার ভিত্তিতেই শিল্পীরা ফান-গখ শৈলিতে ছবি আঁকেন৷ ১২টি ছবির সমন্বয়ে চলচ্চিত্রের এক সেকেন্ড তৈরি হয়৷ ছবিটির ট্রেলার ইন্টারনেটে ১০ লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে৷