গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম : মিশরে ২০ বছরের অপেক্ষার অবসান
২০ বছর ধরে নির্মাণকাজ চলেছে৷ দীর্ঘ দিনের কর্মযজ্ঞ শেষে অবশেষে মিশরে বেশ কয়েকটি গ্যালারি নিয়ে চালু হয়েছে প্রাচীন, দুর্লভ সামগ্রীর একটি নতুন জাদুঘর৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম
গিজার পিরামিডের ঠিক পাশেই অবশেষে খুলে দেওয়া হলো নতুন জাদুঘরের দরজা৷ রাজনৈতিক টানাপোড়েন ও অর্থ সংকট মিটিয়ে অবশেষে দুই দশক পর চালু হলো জাদুঘরটি৷ প্রধানমন্ত্রী মোস্তোফা মাদবুলি অবশ্য বলেছেন, এটি ‘পরীক্ষামূলক উদ্বোধন’৷ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন পরে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
সব অংশ চালু হয়নি
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাদুঘরের মূল প্রবেশদ্বার ও দোকানের অংশটি জনগণের জন্য খোলা হয়৷ বিভিন্ন ঐতিহাসিক মূর্তি ও অন্যান্য জিনিস নিয়ে গ্যালারিগুলো চালু হলো এখন৷ তবে তুতানখামুন রাজা ও খুফু পিরামিড সম্পর্কিত গ্যালারিগুলি এখনও চালু হয়নি৷
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই জাদুঘর
মিশরের প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক সংগঠনের সদস্য আলি আবু দাশিশের মতে, এই পরীক্ষামূলক উদ্বোধন বোঝাচ্ছে যে, এখন মিশরের কাছে তার প্রাচীন ও দুর্লভ জিনিস সঠিকভাবে রাখার ক্ষমতা আছে৷ এমনকি সেইসব সামগ্রীকেও মিশর সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে পারবে, যেগুলি পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলি থেকে ফেরত আনা হয়েছে, বলে জানান তিনি৷
কী বলছেন পর্যটকরা?
রাশিয়ার পর্যটক কসেনিয়া মুসে বলেন, ‘‘আমরা খুবই খুশি এখানে এসে, এই সব সুন্দর ভাস্কর্য দেখে৷ এগুলি খুবই আধুনিকভাবে রাখা, দেখলে মনে হয় ইতিহাসকে ধরতে পারছি৷’’
মিশরে পর্যটন
পর্যটন মিশরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎস৷ বেশ কিছু দিন ধরেই পর্যটন কিছুটা কমছিল৷ এর কারণ ছিল পর্যাপ্ত পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা না থাকা ও রাজনৈতিক জটিলতা৷
মিশরের সবচেয়ে বিখ্যাত জাদুঘর
এই গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান জাদুঘর চালু হবার আগ পর্যন্ত মিশরের সবচেয়ে বিখ্যাত জাদুঘর ছিল রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কোয়ারের ইজিপশিয়ান মিউজিয়ামটি৷ ১৯০২ সালে চালু হওয়া এই জাদুঘরটির আধুনিকীকরণ ও সংস্কার করা হয়নি৷