‘গ্রেনেড হামলায় জড়িত বিএনপির সাবেক মন্ত্রী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি'
২১ আগস্ট ২০১০আহত হয়ে শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগ নেত্রী এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন৷ আহত হন প্রায় দু'শ৷ আহতদের অনেকেই চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন৷
বিএনপি-জামায়েত জোট সরকারের আমলে এই হামলার ঘটনায় যে মামলা হয়েছিল, তার তদন্ত নিয়ে হয় নানা নাটক৷ জজ মিয়া নামে এক ব্যক্তির কথিত জবানবন্দি আদায় করে প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলায় আওয়ামী লীগই জড়িত – এমন তথ্য প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা করা হয়েছিল৷ কিন্তু সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে মামলার তদন্তে নাটকীয় অগ্রগতি হয়৷ তখন বিএনপির সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করে মামলার চার্জশিট দেয়া হয়৷
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলার অধিকতর তদন্ত শুরু হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ নতুন ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ অন্য ৩ জন হলেন হরকাতুল জিহাদ নেতা আব্দুস সালাম, ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুর রহমান এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নাগরিক ইউসুফ বাট৷ ইউসুফ বাটের মাধ্যমেই হামলার জন্য গ্রেনেড আনা হয়েছিল৷ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি'র এ্যাডিশনাল এসপি আবদুল কাহহার আখন্দ ডয়চে ভেলেকে জানান, হাওয়া ভবনে এই হামলার পরিকল্পনা বৈঠক হয়৷ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরো কয়েকজন প্রভাবশালীর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে৷
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ২২শে নভেম্বরের মধ্যে এই মামলার সম্পূরক চার্জশিট দেয়া হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন