গ্রিন নয় এবার ব্লু কার্ড
২৩ অক্টোবর ২০০৮এটি চালু হলে ভিসা প্রসেসিং-এ সময় লাগবে কম৷ ইইউ দেশে কর্মরত শ্রমিকরা তাদের পরিবারের সদস্যদেরও সহজেই আনতে পারবেন৷ আবাসন সুবিধাও পাওয়া যাবে অনেক বেশি৷
ইইউ আশা করছে, ব্লু কার্ড চালু করে দক্ষ অভিবাসী কর্মীদের এনে অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সঙ্গে সহজেই প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে ইইউ দেশগুলো৷ ইউরোপে দক্ষ টেকনিশিয়ান ও হাসপাতাল কর্মীর ঘাটতি দেখা দেয়ায় এসব ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশের কর্মীদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে৷
ইইউ দেশগুলোতে বর্তমানে অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা ২ শতাংশেরও কম৷ তবে অস্ট্রেলিয়ায় এই সংখ্যা ১০ শতাংশ৷ ক্যানাডায় রয়েছে ৭.৩ শতাংশ অভিবাসী শ্রমিক আর যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে ৩.২ শতাংশ৷
ব্লু কার্ডের মাধ্যমে একজন শ্রমিক ইইউভুক্ত কোন একটি দেশে ১৮ মাস কাজ করতে পারবেন৷ এরপর কাজের জন্য এই অঞ্চলের অন্য কোন দেশে যেতে পারবেন৷ নতুন দেশে যাওয়ার এক মাসের মধ্যেই পাওয়া যাবে নতুন ব্লু কার্ড৷
তবে শ্রম বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে এই এই ব্লু কার্ডে৷ কারণ, এই কার্ড থাকলেও ইইউভুক্ত যে কোন দেশে অভিবাসী শ্রমিকদের চাকরি করার সুযোগ কম৷ যেমনটা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে৷ গ্রিন কার্ডধারীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পুরো শ্রম বাজারই উন্মুক্ত৷
এ বছরের শেষ নাগাদ ইইউ পার্লামেন্টে ব্লু কার্ড বিলটি পাশ হবে বলে আশা করছেন ইইউ মন্ত্রীরা৷ আর তা হলে ২০১০ সালের মাঝামাঝি থেকেই চালু করা হবে ব্লু কার্ড৷ তবে এ ব্যাপারে কিছুটা দেরি করতে চাইছে চেক প্রজাতন্ত্রের মতো ইইউ-এর নতুন দেশগুলো৷ কারণ, তাদের শ্রমিকরাই এই অঞ্চলের সব দেশে কাজ করার সুযোগ পায় নি এখনো৷