গ্রাম্য সালিশে নারী নির্যাতনের ঘটনায় তাৎক্ষণিক গ্রেফতার
৩১ জুলাই ২০১১রবিবার সকালে বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন৷
রংপুরের বদরগঞ্জ থানার মধুপুর ইউনিয়নের রাধারামপুর গ্রামের দুই গৃহবধূকে সালিশে নির্যাতনে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে তৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট বলেছে, এ ধরনের সালিশ-ব্যবসা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে৷ পুলিশ তা বন্ধ না করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ আদালতের তলবে বদরগঞ্জের চার জন রবিবার হাজির হলে তাদের গ্রেপ্তারের এই নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সঙ্গে সঙ্গে চার জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ গ্রেফতারকৃতরা হলেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ মোল্লা, স্থানীয় মাতব্বর সেকেন্দার আলী, শিক্ষক মুজাহিদ আলী ও ইউপি সদস্য ইলিয়াস৷ বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী ও গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন৷
আগামী ৭ আগস্ট দুই গৃহবধুর কাছে নির্যাতনের ঘটনা শুনবে হাইকোর্ট৷ এর মধ্যে তদন্ত করে ওইদিন অগ্রগতির প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এ সময়ের মধ্যে অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত৷ রবিবার সকাল সাড়ে দশটায় সালিশকারীরা আদালতে হাজির হয়ে ২ গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনা ব্যাখ্যা করেন৷ এর আগে বদরগঞ্জ থানার ওসি তোবারক আলী ও সালিশে উপস্থিত মধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সালিশকারীরা আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের তিরস্কার করেন৷
আসামী পক্ষের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, যেভাবে গণমাধ্যমে নির্যাতনের ঘটনা এসেছে ঘটনাটি সেরকম নয়৷
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই একটি সংবাদ মাধ্যমে সালিশে প্রকাশ্যে দুই গৃহবধূকে লাঠিপেটা শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, বদরগঞ্জ উপজেলার রাধারামপুর গ্রামে গত ২৬ জুন সালিশে হাফিজা বেগম হ্যাপি ও সাইদা বেগম নামে দুই গৃহবধূর ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়৷ মাতব্বরদের নির্দেশে শত শত লোকের সামনে তাদের লাঠি দিয়ে পেটানো হয়৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ডয়চে ভেলে, ঢাকা
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম