গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমাবে ইইউ
২৭ জুলাই ২০২২রাশিয়া বলছে, যান্ত্রিক কারণে তারা গ্যাস সরবরাহ কম করেছে। কিন্তু ইইউ মনে করছে, যেহেতু তারা ইউক্রেনকে সমর্থন করছে, তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে, তাই রাশিয়াও তাদের বিপাকে ফেলে দেয়ার জন্য গ্যাস সরবরাহ কম করছে।
মঙ্গলবার ব্রাসেলসে বৈঠকে বসেছিলেন ইইউ-র সদস্য দেশগুলির মন্ত্রীরা। সেখানেই ঠিক হয়েছে, আগামী অগাস্ট থেকে ২০২৩-এর মার্চ পর্যন্ত ইইউ-র দেশগুলি গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কম করবে। আগে প্রস্তাব ছিল, ইইউ-র সব দেশ বাধ্যতামূলকভাবে গ্যাস ব্যবহার কম করবে। কিন্তু বেশ কয়েকটি দেশ এই প্রস্তাবে আপত্তি জানায়। তখন ঠিক হয়, দেশগুলি স্বেচ্ছায় গ্যাস ব্যবহার কম করবে। ইইউ-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এটা এমন কোনো মিশন নয়, যেখানে লক্ষ্যপূরণ করা যাবে না।
ইইউ-র দেশগুলি যে গ্যাস ব্যবহার করে, তার ৪০ শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে গেছে। ইইউ-র অধিকাংশ দেশ রাশিয়ার আক্রমণের নিন্দা করেছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং রাশিয়ার উপর গ্যাস-নির্ভরতা কমাবার চেষ্টা করছে।
ইইউ মন্ত্রীদের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, সদস্য দেশগুলি রাজনৈতিক চুক্তিতে পৌঁছেছে। সেখানে শীতের কথা ভেবে স্বেচ্ছায় গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কম করবে। রাশিয়া গ্যাসকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে।
ইইউ-র এনার্জি কমিশনের প্রধান কাদরি সিম্পসন বলেছেন, সমন্বয়ের ভিত্তিতে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।
বিরোধও আছে
হাঙ্গেরি এই পরিকল্পনা খারিজ করে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এই পরিকল্পনা অন্যায্য, অর্থহীন এবং ক্ষতিকর। হাঙ্গেরির বক্তব্য, কোন সদস্য দেশ কার কাছ থেকে গ্যাস নেবে, কতটা ব্যবহার করবে, তা ঠিক করার আইনগত অধিকার ইইউ-র নেই। হাঙ্গেরির কাছে যখন গ্যাস আছে, তখন দেশের মানুষ বা কোম্পানি কেন তার ব্যবহার কম করবে?
ইইউ-র গ্যাস পাইপলাইন নেটওয়ার্কের সঙ্গে স্পেন ও পর্তুগালের কোনো যোগ নেই। তারাও এই প্রস্তাবের বিরোধী। গ্রিসও মনে করছে, এই প্রস্তাব তাদের অর্থনীতি ও নাগরিকদের প্রবল চাপে ফেলবে। পোল্যান্ড জানিয়েছে, তাদের কাছে গ্যাসের পুরো মজুত আছে। তাই তাদের গ্যাস বাঁচাবার দরকার নেই।
ইইউ-র বাকি সদস্য দেশগুলি এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। জার্মানিও এই পরিকল্পনা সমর্থন করছে।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)