গ্যাস নিয়ে জার্মানিকে চাপ রাশিয়ার
১২ মে ২০২২রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের মূল সংস্থা গ্যাসপ্রোম। একটি জার্মান সংস্থার সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে তারা জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ করে। ওই জার্মান সংস্থার নাম গ্যাসপ্রোম জার্মানিয়া।
বুধবার একটি ডিক্রি জারি করে রাশিয়ার গ্যাসপ্রোমকে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন জানিয়ে দিয়েছেন, জার্মান সংস্থার সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে গবে। আর এর ফলেই জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জার্মানির অবশ্য দাবি, এমন যে হতে পারে, তা তারা আগেই আশঙ্কা করেছিল। ফলে বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি আছে। গ্যাসের মজুতও যথেষ্ট আছে বলে জানানো হয়েছে। গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছে তারা। বস্তুত, গ্যাসপ্রোম আগেই জার্মানিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল।
চেরনোবিলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন
চেরনোবিলের পরমাণু কেন্দ্রের তথ্য আবার পেতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা। জাতিসংঘের এই সংস্থা সমস্ত পরমাণু কেন্দ্রের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য রাখে। তারা জানিয়েছে, ইউক্রেনের চেরনোবিল রাশিয়ার সেনা দখল করার পর তাদের কাছে আর কোনো তথ্য আসছিল না। প্রায় একমাস আগে রাশিয়ার সেনা চেরনোবিলের পরমাণু কেন্দ্র ছেড়ে রাশিয়ার সেনা চলে যায়। কিন্তু এতদিন সেখান থেকে তথ্য মিলছিল না। বুধবার থেকে ফের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে কারণ পরমাণু বিষয়ক সংস্থাটির কর্মকর্তারা সেখানে পৌঁছাতে পেরেছেন। তবে ইউক্রেনের অন্য পরমাণুকেন্দ্র ঝাপারঝিয়া থেকে এখনো তথ্য মিলছে না। ওই অঞ্চলে এখনো রাশিয়ার সেনা আছে।
প্রতি সেকেন্ডে ঘরছাড়া একটি শিশু
ইউক্রেনে প্রতি সেকেন্ডে গৃহহীন হচ্ছে একটি শিশু। ইউনিসেফের মুখপাত্র ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউক্রেনের শিশুরা। বহু শিশু গৃহহীনহয়ে পড়েছে। অনেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। বস্তুত, এখনো পর্যন্ত ৫০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয়প্রার্থী হয়েছেন। তারমধ্যে শিশু এবং নারীর সংখ্যা বেশি।
শলৎস-জেলেনস্কি কথা
জার্মান চ্যান্সেলর শলৎসের সঙ্গে দীর্ঘ কথা হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। ইউক্রেনকে আর কী কী সুযোগ করে দেওয়া যায়, কী কী সাহায্য প্রয়োজন, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরো আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে দুই পক্ষই। এদিকে জার্মানিতে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে ইউক্রেনের সেনার।
জার্মান পার্লামেন্টের সদস্যরা জানিয়েছেন, এর অর্থ এমন নয় যে, জার্মানি সরাসরি যুদ্ধে যোগ দিল। আন্তর্জাতিক আইন তা বলে না। তবে একইসঙ্গে তাদের বক্তব্য, রাশিয়া আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা করে না।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)