৯০ বছরের কারাদণ্ড
১৫ জুলাই ২০১৩গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলা কালে পাঁচ ধরনের ৬১টি অভিযোগ আনা হয়৷ প্রধান অভিযোগ, তিনি একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যার মূল পরকিল্পনাকারী৷ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি পূর্ব-পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির ছিলেন৷ গোলাম আযমের বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের মামলায় ব্যাপক মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, উস্কানি, পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা এবং হত্যা-নির্যাতনে বাধা না দেয়ার এই পাঁচ ধরনের অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে৷
মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে ২২শে নভেম্বর তিনি পাকিস্তানে পালিয়ে যান৷ ১৯৭৩ সালের ৮ই এপ্রিল আযমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়৷ তবে ১৯৭৮ সালে তিনি পাকিস্তানি পাসপোর্টে আবারো বাংলাদেশে আসেন৷
২০১০ সালের আগস্ট মাসে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু হয়৷ গত বছরের ১১ই জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালে হাজির হলে গোলাম আযমকে কারাগারে পাঠানো হয়৷ চলতি বছরের ১৭ই এপ্রিল এই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়৷ এর তিন মাস পর সোমবার, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার কথা বলেন ট্রাইব্যুনাল-১৷
প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেন, এর আগে ট্রাইব্যুনাল চারটি মামলার রায় দিয়েছে৷ বিচার কর্যক্রম শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যেই ঐ চারটি মামলার রায় দেয়া হয়েছে৷ গোলাম আযমের মামলার রায় দিতে অবশ্য ট্রাইব্যুনাল তিন মাস সময় নিল৷ তবে নানা হুমকি আর চাপের মুখেও তারা স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছে, করছে৷ তিনি জানান, এর আগে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরদের চিঠি এবং ই-মেলে হত্যার হুমকি দেয়া হয়৷ সর্বশেষ ‘প্রসিকিউশনের সদস্যদের হত্যা করা হবে', এমন কথা দেয়ালে লিখেও প্রসিকিউটরদের হুমকি দেয়া হচ্ছে৷
রানা দাসগুপ্ত জানান, ট্রাইব্যুনাল শুরুর পর থেকে নানা হুমকি আর সারা দেশে সহিংসতার মাধ্যমে এই বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হয়েছে৷ কিন্তু তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে৷ ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবে৷ কারণ প্রসিকিউটররা জীবনের ভয় করেন না৷ তাঁর মতে, এখন ট্রাইব্যুনাল অনেক বেশি অভিজ্ঞ এবং দক্ষ৷