1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৯০ বছরের কারাদণ্ড

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৫ জুলাই ২০১৩

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনাল নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করছে৷ আযমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর, তাকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত৷

https://p.dw.com/p/197fK
Former head of opposition Jamaat-e-Islami party Ghulam Azam (C) escorted by security personnel and lawyers as he emerges from the Bangladesh International Crimes Tribunal in Dhaka on January 11, 2012. Bangladesh arrested an Islamist leader on charges of war crimes during the country's 1971 liberation struggle against Pakistan, lawyers said. AFP PHOTO/ Munir uz ZAMAN (Photo credit should read MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images)
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images

গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলা কালে পাঁচ ধরনের ৬১টি অভিযোগ আনা হয়৷ প্রধান অভিযোগ, তিনি একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যার মূল পরকিল্পনাকারী৷ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি পূর্ব-পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির ছিলেন৷ গোলাম আযমের বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের মামলায় ব্যাপক মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, উস্কানি, পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা এবং হত্যা-নির্যাতনে বাধা না দেয়ার এই পাঁচ ধরনের অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে৷

মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে ২২শে নভেম্বর তিনি পাকিস্তানে পালিয়ে যান৷ ১৯৭৩ সালের ৮ই এপ্রিল আযমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়৷ তবে ১৯৭৮ সালে তিনি পাকিস্তানি পাসপোর্টে আবারো বাংলাদেশে আসেন৷

File:Ghulam Azam Office 2009.jpg Quelle: http://en.wikipedia.org/wiki/File:Ghulam_Azam_Office_2009.jpg
গোলাম আযমছবি: Rayizmi Rayizmi

২০১০ সালের আগস্ট মাসে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু হয়৷ গত বছরের ১১ই জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালে হাজির হলে গোলাম আযমকে কারাগারে পাঠানো হয়৷ চলতি বছরের ১৭ই এপ্রিল এই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়৷ এর তিন মাস পর সোমবার, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার কথা বলেন ট্রাইব্যুনাল-১৷

প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেন, এর আগে ট্রাইব্যুনাল চারটি মামলার রায় দিয়েছে৷ বিচার কর্যক্রম শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যেই ঐ চারটি মামলার রায় দেয়া হয়েছে৷ গোলাম আযমের মামলার রায় দিতে অবশ্য ট্রাইব্যুনাল তিন মাস সময় নিল৷ তবে নানা হুমকি আর চাপের মুখেও তারা স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছে, করছে৷ তিনি জানান, এর আগে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরদের চিঠি এবং ই-মেলে হত্যার হুমকি দেয়া হয়৷ সর্বশেষ ‘প্রসিকিউশনের সদস্যদের হত্যা করা হবে', এমন কথা দেয়ালে লিখেও প্রসিকিউটরদের হুমকি দেয়া হচ্ছে৷

রানা দাসগুপ্ত জানান, ট্রাইব্যুনাল শুরুর পর থেকে নানা হুমকি আর সারা দেশে সহিংসতার মাধ্যমে এই বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হয়েছে৷ কিন্তু তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে৷ ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবে৷ কারণ প্রসিকিউটররা জীবনের ভয় করেন না৷ তাঁর মতে, এখন ট্রাইব্যুনাল অনেক বেশি অভিজ্ঞ এবং দক্ষ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য