গোপন সামরিক আদালতের রায়ে আবু তাহেরের ফাঁসি অবৈধ: হাইকোর্ট
২২ মার্চ ২০১১আদালত মনে করেন, সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জিয়া জড়িত ছিলেন৷ আর জিয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকেও হত্যা করছেন৷ আদালত এব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন৷
কর্নেল তাহেরকে গোপন সামরিক আদালতের রায়ে ফাঁসি দেয়া হয় ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই৷ আর ফাঁসির রায় দেয়া হয়েছিল এর ৪ দিন আগে৷ সামরিক আদালত আরো ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দিয়েছিল৷ তাহেরের পরিবার গত আগষ্টে সামরিক আদালতের বিচারকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন৷ হাইকোর্টের বিচারপতি এ এইচ কে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং বিচারপতি শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন আজ রায় দেন৷ রায়ে গোপন সামরিক আদালতের তাহেরকে দেয়া ফাঁসিকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, সামরিক শাসক জিয়া তাঁর ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে বিচারের নামে তাহেরকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছেন৷ যা সাংবাদিকদের জানান অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এম কে রহমান৷
আদালত বলেছেন, ওই সময় অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে৷ সেইসব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এবং তাহেরের সঙ্গে আরো যাদের গোপন বিচার করা হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত৷ আর তাহেরকে শহীদের মর্যাদায় ভূষিত করতে বলা হয়েছে৷ আদালত মনে করেন, সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়া জড়িত ছিলেন৷ তিনিই ছিলেন মূল পরিকল্পনাকারী৷
আদালত এই মামলায় সরকারী বেসরকারী সবপক্ষের বক্তব্য শুনেছেন৷ বক্তব্য শুনেছেন বিদেশি সাংবাদিক লরেঞ্জ লিফশুলজের৷ আর নিয়োগ করেন ১১ জন এমিকাস কিউরী৷ তাদের দেয়া তথ্য উপাত্ত এবং স্বাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দেন৷ রায়ের পর তাহেরের পরিবার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, তাহের যে দেশপ্রেমিক ছিলেন তা আবারো প্রমাণ হল৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন