সারা পেলিন
৩ মার্চ ২০১২জন হাইলেম্যান এবং মার্ক হেল্পেরিন'এর বইটি বেস্টসেলার হয়েছিল৷ টেলিভিশনের জন্য নির্মিত ছবিটিতে নাটকীয়ভাবে দেখানো হয়েছে, ম্যাককেইন কিভাবে সারা পেলিন'কে রানিং মেট, অর্থাৎ তার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলেন৷ সারা পেলিন'কে কিভাবে রিপাবলিকানদের উঠতি রাজনৈতিক তারকা হিসেবে গড়ে তোলা হল৷ অনভিজ্ঞ পেলিন কিভাবে সেই চাপে প্রায় ভেঙে পড়তে চলেছিলেন৷ কিন্তু ম্যাককেইন এবং পেলিন, দু'জনকেই মানুষ হিসেবেই দেখানো হয়েছে৷ ছবিতে তাদের রাজনীতির উপর জোর দেওয়া হয়নি, বলেছেন চিত্রনাট্য রচয়িতা ড্যানি স্ট্রং৷
১০ই মার্চ ছবিটি সম্প্রচারিত হবে৷ পেলিন পক্ষ ইতিমধ্যেই ছবিটিতে সত্যের অপলাপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে৷ ছবির নির্মাতারা সে'কথা স্বীকার করেন না৷ ছবিটি শুরু হচ্ছে ২০০৭ সালের অগাস্টে, যখন প্রচারণা কৌশলী স্টিভ স্মিট ম্যাককেইনের দলে যোগ দেন৷ স্মিট'এর উদ্যোগেই নাকি মাত্র পাঁচদিনের দেখাশুনার পর সারা পেলিন'কে রানিং মেট হিসেবে মনোনীত করেন জন ম্যাককেইন৷
পেলিন'এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জুলিয়ান মুর৷ তিনি সারা পেলিন'কে ফুটিয়ে তুলেছেন এক অনুগত রিপাবলিকান হিসেব৷ অপরদিকে পেলিন হঠাৎ পাদপ্রদীপের আলোয় এসে নিজের দুর্বলতাগুলিও প্রকাশ করে ফেলেছেন: যেমন তিনি বিশ্বরাজনীতির বিষয়ে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল নন৷ অপরদিকে ছবিতে পেলিন'এর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিশেষ ঘাঁটা হয়নি৷ তাকে একটি ঘনিষ্ঠ, সংঘবদ্ধ পরিবারের সদস্য এবং স্নেহময়ী মা হিসেবেই দেখানো হয়েছে৷
মোট কথা, ছবির সারা পেলিন বিপুল চাপের মুখে প্রায় নার্ভাস ব্রেকডাউনের সম্মুখীন, এমনকি একবার খাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন বলে দেখানো হয়েছে৷ অপরদিকে যে সারা পেলিন'এর রিপাবলিকান কনভেনশনে প্রদত্ত ক্যারিসম্যাটিক বক্তৃতা প্রেসিডেন্সিয়াল রেস'এর প্রকৃতিই বদলে দিয়েছিল, তিনিও আছেন৷ ছবির শেষ বাণী: পেলিন এবং প্রেসিডেন্ট ওবামা, দুজনেই সেলিব্রিটি রাজনীতিকদের এক নতুন যুগের সূচনা করেছেন৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম