গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ: পরীক্ষার মুখে যুক্তরাজ্য-চীন সম্পর্ক
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ঐ দুজনকে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সপ্তাহান্তে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে৷ ‘‘ঐ দুজনের বাড়ি এবং পূর্ব লন্ডনের এক ঠিকানায় তল্লাশি করা হয়েছে,'' বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়৷
গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি৷ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়নি৷ দুইজনই অক্টোবর পর্যন্ত জামিনে মুক্ত আছেন৷
সন্দেহভাজন গবেষক তার আইনজীবীদের মাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি ‘পুরোপুরি নির্দোষ'৷
যুক্তরাজ্যের চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে গোয়েন্দা তথ্য চুরির অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং বিদ্বেষপূর্ণ অপবাদ' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে৷
নিরাপত্তা, বিনিয়োগ ও মানবাধিকার ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ইতিমধ্যে খারাপ অবস্থায় আছে৷
হংকংয়ে নাগরিক স্বাধীনতার উপর চীনের অভিযানের সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্য৷ এছাড়া পারমাণবিক শক্তি ও ৫জি মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের মতো কৌশলগত খাত থেকে চীনা কোম্পানিগুলিকে দূরে সরিয়ে রেখেছে৷
ভারতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াংয়ের সঙ্গে আলোচনার সময় গুপ্তচরবৃত্তির বিষয়টি তুলেছিলেন৷ ব্রিটিশ গণমাধ্যমে সুনাক জানান, তিনি ‘আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রে যে কোনো হস্তক্ষেপের বিষয়ে অত্যন্ত দৃঢ় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷'' এরপরও অবশ্য তিনি চীনের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার গুরুত্বের ওপর জোর দেন৷
তবে সুনাকের দলের অনেকে মনে করেন, সরকারের বর্তমান চীন নীতি ‘দুর্বল'৷ তারা চীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘হুমকি' হিসেবে চিহ্নিত করারও আহ্বান জানিয়েছেন৷
জেডএইচ/কেএম (এএফপি, এপি, রয়টার্স)