1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিফিলিস্তিন

গাজায় হাসপাতালে প্রবল বিস্ফোরণ, মৃত পাঁচশ

১৮ অক্টোবর ২০২৩

গাজায় একটি হাসপাতালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কয়েকশ মানুষ মারা গেছেন। এই হামলার দায় নেয়নি কোনো পক্ষই।

https://p.dw.com/p/4XfFO
গাজায় হাসপাতালেও বিস্ফোরণ। মৃত বহু।
হাসপাতালে বিস্ফোরণের পর এক আহতকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: Mohammed Al-Masri/REUTERS

ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা এই আক্রমণ করেনি। ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসীদের রকেট হাসপাতালে ভেঙে পড়েছে। আর হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়েছে। তার ফলে এই ভয়ংকর অবস্থা হয়েছে।

হাসপাতাল-আক্রান্ত হওয়ার পর আরব দেশগুলি জানিয়ে দিয়েছে, তারা জর্ডনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে আর আলোচনায় বসবে না।

গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার ভোরে এই হাসপাতালটি আক্রান্ত হয়। গাজার সিভিল ডিফেন্স প্রধান প্রথমে বলেছিলেন, অন্ততপক্ষে তিনশ জন মারা গেছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, অন্ততপক্ষে পাঁচশ জন মারা গেছেন। উদ্ধারকারীরা এখনো কাজ করে যাচ্ছেন।

এই হাসপাতালে বিস্ফোরণের আগে গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণে তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি। তার আগে হামাসের আক্রমণে ইসরায়েলে এক হাজার তিনশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দুইশ মানুষকে হামাস পণবন্দি করে নিয়ে গিয়েছে।

ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক বিবিসি-কে জানিয়েছেন, সেখানে চার হাজার ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন। সবাই এখন ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া মানুষকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। আর এই আল আহলি হাসপাতালটি পুরোপুরি চার্চের অনুদানে চলে।

গুতেরেসের নিন্দা

জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল গুতেরেস বলেছেন, ''গাজার হাসপাতালে কয়েকশ ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষের মৃত্যুতে আমি বিপর্যস্ত। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। হাসপাতাল ও তার কর্মীরা আন্তর্জাতিক আইনে সুরক্ষিত।'' 

আমিরাত ও রাশিয়ার অনুরোধে বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকও ডাকা হয়েছে।

ইইউ-র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ  এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। বরেল বলেছেন, ''আবার বেসামরিক মানুষকে চরম মূল্য দিতে হলো। এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী তা জানতে হবে এবং তাদের শাস্তি দিতে হবে।''

মাক্রোঁ বলেছেন, ''এই হামলার পিছনে কোনো অজুহাত থাকতে পারে না। ফ্রান্স এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছে।'' ফ্রান্সের দাবি, অবিলম্বে গাজায় মানবিক সাহায্য দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

বাইডেনের সফরসূচি

বাইডেন বলেছেন, ''হাসপাতালে বিস্ফোরণের ফলে আমি ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত।''

জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, ইসরায়েলে পৌঁছাবার পর বাইডেন প্রথমে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। তারপর তিনি ইসরায়েলের ওয়ার ক্যাবিনেটের সঙ্গে মিলিত হবেন। যারা হামাসের আক্রমণের সফল মোকাবিলা করেছিলেন, এমন কিছু মানুষের সঙ্গে বাইডেন দেখা করবেন।

কিরবি জানিয়েছেন, তারপর হামাসের আক্রমণে যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এমন কিছু পরিবারের সঙ্গে বাইডেন দেখা করবেন। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন। কিরবি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের প্রকৃত বন্ধু হিসাবে বাইডেন কিছু কঠিন প্রশ্ন তুলবেন।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)