গাজায় নারী পুরুষের বিশেষ গোসলখানা
২৭ জুলাই ২০১০এই গাজার ভিন্ন রূপও আছে৷ রয়েছে বিনোদন কিংবা বিলাসিতার উপকরণও৷
গাজার এক ব্যস্ত সড়কের পাশেই অবস্থিত ‘হামাম আল-শার্মা'৷ সহজ কথায় এটি বিশেষ ধরণের গোসলখানা৷ আর বিশেষত্ব হচ্ছে, এটি হাজার বছরের পুরনো৷ এই গোসলখানায় রয়েছে মাসাজের ব্যবস্থা, সঙ্গে মনের প্রশান্তির জন্য নানা সুগন্ধির ব্যবহার৷
‘হামাম আল-শার্মা'য় কাজ করেন মুরাদ আওয়াদ৷ ৩৩ বছর বয়সী এই যুবক মাসাজ করতে করতেই জানাচ্ছেন, বহিঃবিশ্বের সঙ্গে এই জায়গার কোন সম্পর্ক নেই৷ যারা সুন্দরের পুজারি, তাদের জন্য এই জায়গা৷ মুরাদ'এর কথায়, যুদ্ধের বিভীষিকা ভুলে যেতে অনেক মানুষ এখানে আসে৷
২০০৮ সালের ডিসেম্বরের পর এই হামামখানা, মানে গোসলখানায় মানুষের আগমন নাকি বেড়েছে৷ তবে, হামামখানাটির সর্বশেষ সংস্কার হয়েছে ত্রয়োদশ শতকে! এটির মালিক সেলিম আল-ওয়াজির'এর দাবি, হাজার বছর আগে তৈরি হয়েছে এই হামামখানা৷ এরপর একবার শুধু বোমা পড়েছিল এটির ওপর৷ কিন্তু ক্ষতি তেমন হয়নি৷
৬০ বছর বয়সী আবু এসান, নিয়মিত আসেন এই হামামখানায়৷ জানালেন, প্রতি দুই-তিনদিন অন্তর একবার আমি এখানে আসি৷ কারণ এখানে গোসল করা কিডনির জন্য উপকারী৷
হামামখানার দেয়ালে ঝুলছে ফাতাহ'র নেতা ইয়াসের আরাফাত'এর ছবি৷ সঙ্গে তাঁর একসময়কার সহযোগী খালিল আল-ওয়াজির'এর ছবি৷ তবে, সেলিম আল-ওয়াজির'এর দাবি, এটি কোন রাজনৈতিক হামামখানা নয়৷ বরং হামাসের অনেক নেতা এবং তাদের পরিবারের নারীরাও আসেন এই গোসলখানায়৷ সেটা শান্তির জন্য৷
অবশ্য ‘হামাম আল-শর্মা'য় নারী-পুরুষের আগমনের সময়সীমা আলাদা৷ আর গোসলখানায় অবশ্যই অন্তর্বাস অথবা তোয়ালে জড়িয়ে থাকাই নিয়ম৷ এর ব্যতিক্রম ঘটানো সম্ভব নয়৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন