গাজায় ধ্বংসের পরিসংখ্যান
গতবছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলা করার পর ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরু করে৷ সেটি এখনো চলছে৷ বিভিন্ন সংস্থা গাজার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷
হতাহত
গতবছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলা চালায়৷ এতে ১,২০০ জন নিহত হন বলে ইসরায়েল জানিয়েছে৷ এরপর ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরু করলে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷ আহতের সংখ্যা প্রায় ৯৫ হাজার৷
ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে গাজায় প্রায় ৪০ মিলিয়ন টন ধ্বংসস্তূপ সৃষ্টি হয়েছে৷ এগুলো সরাতে ১৫ বছর লেগে যেতে পারে৷ খরচ হতে পারে পাঁচ থেকে ছয় মিলিয়ন ডলার৷
ধ্বংসস্তূপের নিচে মরদেহ
ধ্বংসস্তূপে অ্যাসবেস্টস ও মরদেহ থাকতে পারে৷ ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত মে মাসে জানিয়েছিল, ধ্বংসস্তূপের নিচে ১০ হাজার মরদেহ থাকতে পারে৷
সংস্কারের সময়
মে মাসে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন জানিয়েছিল, গাজার ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি সংস্কার করতে অন্তত ২০৪০ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে৷ ফিলিস্তিনের তথ্য বলছে, প্রায় ৮০ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে৷
অবকাঠামোর ক্ষতি
জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন বলছে, অবকাঠামোর ক্ষতির পরিমাণ ১৮.৫ বিলিয়ন ডলার৷ আবাসিক ভবন, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জ্বালানির মতো জরুরি সেবাকে এর মধ্যে ধরা হয়েছে৷ গাজা শহর তার প্রায় পানি উৎপাদনের পুরো ক্ষমতা হারিয়েছে৷ ৮৮ শতাংশ পানির উৎস ও ১০০ ভাগ লবণমুক্তকরণ প্ল্যাট ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে বলে অক্সফ্যামের এক প্রতিবেদন বলছে৷
কৃষিজমির ক্ষতি
কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার মোট কৃষিজমির অর্ধেকের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, গির্জার ক্ষতি
গাজা গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস আগস্টে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০০ সরকারি অবকাঠামো, ১২২টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়, ৬১০টি মসজিদ ও তিনটি গির্জা ধ্বংস হয়েছে৷