1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

গাজায় দৈনিক সংঘর্ষ-বিরতির সময় ঘোষণা করল ইসরায়েল

১৭ জুন ২০২৪

দক্ষিণ গাজায় নির্দিষ্ট একটি সময়ে ইসরায়েল হামলা চালাবে না বলে জানিয়েছে সে দেশের প্রশাসন।

https://p.dw.com/p/4h75w
ধ্বংসস্তূপ গাজা
গাজায় দৈনিক সংঘর্ষ-বিরতিছবি: Abed Rahim Khatib/dpa/picture alliance

ইসরায়েল অবশ্য এটিকে সংঘর্ষ-বিরতি বলছে না। তাদের ভাষায় এটি হলো 'ট্য়াকটিকাল পস' বা কৌশলগত বিরতি। তাদের বক্তব্য়, দক্ষিণ গাজায় যাতে ঠিকমতো ত্রাণ পৌঁছাতে পারে, সে জন্য়ই এই অবস্থান নেয়া হয়েছে। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় এই ছাড় দেওয়া হবে। সে সময় ইসরায়েলের সেনা দক্ষিণ গাজার কোথাও হামলা চালাবে না। ত্রাণকর্মীরা নিরাপদে প্রয়োজনীয় জিনিস বিলি করতে পারবেন।

তবে উত্তর বা মধ্য গাজায় এই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে ঈদের দিন সংঘর্ষ-বিরতির আর্জি জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার বিবৃতিতে বাইডেন লিখেছেন, 'বহু মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে। বহু শিশু নিহত হয়েছে। পরিবার ধ্বংস হয়েছে। মানুষ প্রতিবেশীকে হারিয়েছেন। এ এক চূড়ান্ত যন্ত্রণা।'

এরপরেই বাইডেন জানিয়েছেন, তিন ধাপের যে সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা দ্রুত কার্যকর হোক। তাহলেই একমাত্র এই লড়াই বন্ধ হবে। ইসরায়েল প্রাথমিকভাবে এই চুক্তি মেনে নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। কারণ, চুক্তির অনেক পয়েন্টই ইসরায়েল প্রস্তাব করেছিল। যদিও ইসরায়েলের অতি দক্ষিণপন্থি রাজনীতিকেরা এই চুক্তির বিরোধিতা করছেন। নেতানিয়াহুর সমালোচনাও করছেন তারা। এদিকে অ্যামেরিকা এখন হামাসের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছে। হামাস এই প্রস্তাব মেনে নিলে দীর্ঘকালীন সংঘর্ষ-বিরতির রাস্তায় যাওয়া সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।

হেজবোল্লার সঙ্গে সংঘাত

এদিকে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিযোগ, হেজবোল্লা ওই সীমান্ত থেকে ইসরায়েলের উপর লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছে। ইসরায়েলও পাল্টা জবাব দিয়েছে। সম্প্রতি ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, হেজবোল্লা সংযত না হলে সংঘাত আরো বাড়বে। তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে গোটা লেবাননেই আক্রমণ চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছে ইসরায়েলের সেনা। উল্লেখ্য, ইসরায়েল মনে করে, হেজবোল্লা গোষ্ঠীকে ইরান সমর্থন করে এবং তারাই হেজবোল্লার কাছকে অস্ত্রও দেয় তারা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)