গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা
জেরুসালেম ঘিরে সংঘর্ষ অব্যাহত। ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, দাবি হামাসের। জার্মানি সহ বহু দেশ নিন্দায় সরব।
তীব্র সংঘর্ষ
রোববার জেরুসালেম ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল ফিলিস্তিনের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইসরায়েল পুলিশের। মৃত্যু হয়েছিল অন্তত সাত জনের। সোমবার সেই সংঘর্ষ আরো তীব্র হয়েছে।
রকেট হামলা
ইসরায়েল পুলিশের দাবি রোববারের পর সোমবারও শতাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। জেরুসালেমে ইসরায়েলের পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলার অভিযোগ। যদিও ইসরায়েল আয়রন ডোম ডিফেন্সের সাহায্যে আক্রমণ প্রতিহত করেছে বলে দাবি।
পুলিশের গ্রেনেড হামলা
ইসরায়েল পুলিশের দাবি, জেরুসালেমে আল-আকসা মসজিদ চত্বর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে ফিলিস্তিনিরা। পাল্টা মসজিদ চত্বরেই গ্রেনেড হামলা শুরু করে পুলিশ।
ইসরায়েলের বিমান হামলা
রকেট হামলার প্রত্যুত্তরে গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের সেনা। ইসরায়েলের দাবি তাতে আটজন হামাস সদস্য নিহত হয়েছেন। হামাস অবশ্য জানিয়েছে, বিমান হামলায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে শিশুরাও আছে। রোববারেও বেশ কিছু ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। আহত ৬৫ জন।
সংঘর্ষের কারণ
জেরুসালেমের একাংশে ফিলিস্তিনিদের বসবাস। ইসরায়েল সেখান থেকে তাদের উৎখাত করতে চাইছে। এ নিয়েই বেশ কিছুদিন ধরে বিতর্ক চলছিল। গত শুক্রবার থেকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করেন ফিলিস্তিনিরা। তারপর থেকেই সংঘর্ষ শুরু হয়। ইসরায়েলের আদালতে মামলাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেছে।
বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস ঘটনার নিন্দা করেছেন। দুই পক্ষের কাছেই সংঘর্ষ থামানো অনুরোধ করেছেন তিনি। সাধারণ মানুষের যাতে আর মৃত্যু না হয়, তার জন্য দুইপক্ষকেই সচেষ্ট হতে বলেছেন মাস। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র বলেছেন, এই মুহূর্তে সংঘর্ষ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
অ্যামেরিকার প্রতিক্রিয়া
অ্যামেরিকা হামাসের রকেট হামলার প্রতিবাদ করেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েলকে জেরুসালেম সংলগ্ন অঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে। কিন্তু অ্যামেরিকা সেই প্রস্তাবে সমর্থন দিতে ষথেষ্ট দ্বিধা করেছে। এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)