গাজায় আশ্রয়শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, হতাহত ৬৫
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪তবে এর মধ্যে কতজন মারা গেছেন, কতজন আহত হয়েছেন, সেই হিসাব তারা দেয়নি। মঙ্গলবার সকালের এই হামলার পর ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা হামাসের কম্যান্ড সেন্টারকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে।
খান ইউনিসের কাছে ওই আশ্রয়শিবিরের তাঁবুতে ফিলিস্তিনিরা ছিলেন। সেখানেই অন্তত চারটি ক্ষেপণাস্ত্র এসে আঘাত করে বলে আবাসিক ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এই জায়গাটি ঘোষিত মানবিক এলাকা। এখানে আশ্রয়হারা ফিলিস্তিনিরা আছেন, যাদের অন্য জায়গা থেকে যুদ্ধের কারণে পালিয়ে আসতে হয়েছে।
গাজা সিভিল এমার্জেন্সি সার্ভিস জানিয়েছে, অন্ততপক্ষে ২০টি তাঁবুতে আগুন ধরে যায়। যে জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আঘাত করে, সেখানে ৩০ ফুটের গর্ত হয়ে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষর কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে হামাসের সঙ্গে যুক্ত শেহাব বার্তা সংস্থা জানিয়েছিল, ৪০ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।
গাজার সিভিল এমার্জেন্সির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমাদের দলের সদস্যরা মৃতদেহগুলিকে সরিয়ে নেয়ার কাজে ব্যস্ত। তারা আহতদেরও সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে কিছু মানুষ হয়ত এখনো ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছেন। তাদের খোঁজ চলছে।
ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, তারা হামাসের কম্যান্ড সেন্টারে আক্রমণ করেছে। এই শিবিরের ভিতরে সেই কম্যান্ড সেন্টার ছিল।
সেনার দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখান থেকেই হামাস সদস্যরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এবং সেনার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাত।
হামাস অবশ্য ইসরায়েলের সেনার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, কোনো বেসামরিক, সাধারণ মানুষের থাকার এলাকায় তারা সামরিক কার্যকলাপ চালায় না।
হামাস জানিয়েছে, এটা বোঝা যাচ্ছে ভয়ংকর অপরাধ করার পর এখন এই দাবি করা হচ্ছে। এর আগেও বহুবার তারা জানিয়েছে যে, বেসামরিক এলাকা বা জমায়েতে তারা সামরিক কাজকর্ম চালায় না।
হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, জার্মানি-সহ বেশ কয়েকটি দেশ।
আবাসিকরা জানিয়েছেন, অ্যাম্বুলেন্সে করে দেহগুলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনো তারা ইসরায়েলি জেটের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন।
গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় সকলেই অন্তত একবার বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকে তো ১০ বার পালিয়েছেন।
গতবছর সাত অক্টোবর হামাস ইসরায়েল আক্রমণ করে এক হাজার দুইশ মানুষকে মেরে ফেলে। ২৫০ জনকে পণবন্দি করে নিয়ে যায়। তারপর ইসরায়েল প্রত্যাঘাত করে। গাজার স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য, ইসরায়েলের আক্রমণে ৪০ হাজার নয়শ মানুষ মারা গেছেন।
জিএইচ/এসজি(রয়টার্স)