গাজায় অগ্নিদগ্ধদের জন্য থ্রিডি মাস্ক
কিছুদিন আগ পর্যন্তও ফিলিস্তিনের গাজায় অগ্নিদগদ্ধদের জন্য থ্রিডি ফেইস মাস্কের ব্যবস্থা ছিল না৷ এজন্য যেতে হত প্রতিবেশী জর্ডানে৷ তবে এখন তারা ঘরের কাছেই পাচ্ছেন এই সেবা৷
ত্রিমাত্রিক আবরণ
প্যালেস্টাইনের কিশোর আহমেদ আল-দিবের চেহারা ভয়াবহভাবে পুড়ে যায়৷ গাজা শহরের মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ার্স ক্লিনিকে এসেছে সে স্বচ্ছ ত্রিমাত্রিক ফেইস মাস্ক এর জন্য৷
ঘরের কাছে
আগে থ্রিডি ফেইস মাস্ক পেতে তাদেরকে জর্ডান যেতে হতো৷ কিন্তু করোনা ভাইরাসের মধ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে তা আর সম্ভব হচ্ছিল না৷ ২০২০ সালে মাত্র দুইজন রোগী দেশটিতে যেতে পেরেছেন, ২০১৯ সালে যেখানে সংখ্যাটি ছিল ২৫৷ তবে ক্লিনিকটির কারণে এখন আর তাদের না গেলেও চলবে৷
অগ্নিদগ্ধদের সহায়
গত মার্চে গাজার একটি মার্কেটে আগুন লেগে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল৷ সেখানে নিজের জুতার দোকানে কাজ করছিলেন আহমেদ আল-নাটুর৷ প্রাণে বাঁচলেও মুখসহ তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পুড়ে যায়৷ মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ার্স থেকে তিনি থ্রিডি ট্রান্সপারেন্ট ফেইস মাস্ক পেয়েছেন৷
থ্রিডি স্ক্যানিং
ফেইস মাস্ক বসানোর জন্য আহমেদ আল-দিবের মুখ স্ক্যান করছেন একজন চিকিৎসক৷ থ্রিডি স্ক্যানার আর থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে তার জন্য তৈরি করা হবে সংবেদনশীল মাস্ক৷ তার মতো অনেক অগ্নিদগ্ধদেরই আশা ভরসার স্থল এখন এই ক্লিনিকটি৷
মুখের থ্রিডি ছবি
স্ক্যান করার পর তৈরি হয়ে গেল আল-দিবের ছবি৷ সেটি পরীক্ষা করে দেখছেন ফিজিওথেরাপিস্ট৷ এর উপর ভিত্তি করেই আল-দিবের জন্য তৈরি হবে মাস্ক৷
মাস্ক তৈরি
আল-দিবের মুখের মাপে মাস্কটি তৈরি হয়ে গেল৷ সেটিকে আরো ভালোভাবে প্রস্তুত করছেন ফিজিওথেরাপিস্ট৷
নতুন মুখ
অবশেষে কাঙ্খিত মাস্কটি পেয়ে গেছে দিব, যা পরে এখন স্বচ্ছন্দেই সে বাইরে বের হতে পারবে৷ চালিয়ে যেতে পারবে স্কুলের ক্লাস কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা৷