গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ
১৫ জানুয়ারি ২০০৯এদিকে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলী ট্যাংক হামলায় আক্রান্ত হয় গাজায় অবস্থিত জাতিসংঘের একটি কার্যালয়৷
ইসরায়েলের অব্যাহত সামরিক অভিযানের ফলে ১৫ লাখ মানুষ অধ্যুষিত গাজার অবস্থা এখন অমানবিক৷ খাদ্য, পানি ও জীবন বাঁচানোর ওষুধের অভাবে সেখানে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ তার ওপর ইসারায়েলী বাধার কারণে সাহায্য সংস্থাগুলোর পাঠানো সহায়তা গাজায় ঢুকতে পারছে না৷ সেখানে একটি যুদ্ধ বিরতির জন্য আন্তর্জাতিক মহলের চেষ্টা চললেও এখন পর্যন্ত তা কোন সফলতার মুখ দেখেনি৷ তবুও জার্মানির নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক মহল গাজার এই অমানবিক পরিস্থিতি ঠেকাতে একটি দেনদরবার চালিয়ে যাচ্ছে৷
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের সঙ্গে বৈঠককালে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল গাজা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ ইতিমধ্যে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার দ্বিতীয়বারের মত মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেছেন৷ যে কোনভাবে গাজার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষগুলোকে উদ্ধার করাটা এবারের সফরের মূল লক্ষ্য৷ এর আগে জার্মান সংসদ বুন্দেসতাগে তিনি তাঁর ভাষণে গাজাবাসীর দুর্দশার কথা তুলে ধরেন৷ এসময় তিনি বলেন, কোন সন্দেহ নেই বেসামরিক নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে৷ এবং যে কোন সময় সেখানকার পরিস্থিতি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে৷ এ অবস্থায় প্রয়োজন হয়ে পড়েছে এসব সাধারণ মানুষের পাশে আমাদের দাঁড়ানো৷
এদিকে বৃহস্পতিবার গাজায় টানা ২০ দিনের মত সামরিক হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলী বাহিনী৷ এদিন ইসরায়েলী ট্যাংকগুলোর শেল আঘাত হানে গাজায় অবস্থিত জাতিসংঘের একটি কার্যালয়ের প্রাঙ্গনে৷ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ এক বার্তায় তিনি বলেছেন, আবারো জাতিসংঘের প্রাঙ্গনে হামলা চালানো হয়েছে৷ ইসরায়েলী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছি এবং এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দাবি করেছি৷
এদিকে কেবল জাতিসংঘের কার্যালয়ে হামলা নয় মানবিক সাহায্য নিয়ে আসা একটি জাহাজও আজ ইসরায়েলী হুমকির মুখে পড়েছে৷ বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে গাজাবাসীর জন্য সাহায্য নিয়ে আসা গ্রিসের একটি জাহাজ সাইপ্রাস থেকে যাত্রা করেছিলো৷ কিন্তু ইসরায়েলী যুদ্ধ জাহাজগুলোর হুমকির মুখে আজ তা আবারো সাইপ্রাসের বন্দরে ফিরে গিয়েছে৷ ওই জাহাজে ইউরোপীয় সংসদের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন শান্তিকর্মী ছিলেন৷