গাজার ‘আয়রন ম্যান’
ইসরায়েলের হামলায় ইয়ামিনের পরিবারের ১৯ সদস্য মারা গিয়েছিলেন ২০১৪ সালে৷ ইয়ামিনের বয়স তখন ছিল তিন৷ এখন কেমন আছে সে?
দুই ভাই বোন
২০১৪ সালের গ্রীষ্মে ফিলিস্তিনের গাজার এক ভবনে বোমা হামলা করেছিল ইসরায়েল৷ সেই সময় ইয়ামিনের বয়স ছিল তিন৷ আর তার বোন গেইনা ছিল কয়েক মাসের শিশু৷ হামলায় তাদের সম্প্রসারিত পরিবারের ১৯ সদস্য প্রাণ হারান৷ তারা হয়ে পড়ে এতিম৷
এখনও পোড়ার যন্ত্রণা
হামলায় ইয়ামিনের পিঠ পুড়ে গিয়েছিল৷ সারা শরীরে ব্যান্ডেজ করতে হয়েছিল৷ পাঁচ বছর পর এখনও মাঝেমধ্যে চামড়া পোড়ায়৷ আর বাম হাত এখনও বিকৃত হয়ে আছে৷
নতুন মা-বাবা
ইয়ামিন আর গেইনা এখন নতুন মা-বাবার কাছে থাকছে৷ চাচা আদনান হয়েছেন বাবা আর নিহত মায়ের সবচেয়ে ভালো বন্ধু ইয়াসমিন আবু জব্বার হয়েছেন তাদের মা৷ ছবিতে নতুন মায়ের সঙ্গে তাদের দেখা যাচ্ছে৷
‘আয়রন ম্যান’
ইয়ামিন এখন স্থানীয় এক প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা করছে৷ একদিন তার বন্ধুরা বিকৃত হাত দেখে হাসিঠাট্টা শুরু করলে সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরে৷ পরে নতুন মা ইয়াসমিন স্কুল গিয়ে ইয়ামিনের বন্ধুদের বলেছিলেন, ইয়ামিনের একটা আয়রন হাত আছে, যেটা দিয়ে সে খালি হাতে রকেটের সঙ্গে লড়তে পারে! এরপর থেকে ইয়ামিন নিজেকে ‘আয়রন ম্যান’ ভাবতে শুরু করেছে৷
ইয়ামিনের সুপারহিরো
নিজেকে আয়রন ম্যান ভাবলেও ইয়ামিনের প্রিয় সুপারহিরো হচ্ছে স্পাইডারম্যান৷ এছাড়া লিওনেল মেসিকে পছন্দ করে সে৷ আর ভালো লাগে গ্যালাক্সি চকলেট খেতে আর পিইউবিজি (প্লেয়ারআননোনস ব্যাটেলগ্রাউন্ডস) ভিডিও গেম খেলতে৷
সাধারণের মৃত্যু
২০১৪ সালে হামাস ও ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর যুদ্ধে দুই হাজার ২৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন, যাঁদের বেশিরভাই ছিলেন সাধারণ নাগরিক৷ আর ইসরায়েলের পক্ষে মারা গিয়েছিলেন ৭৪ জন, যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন সামরিক বাহিনীর সদস্য৷
ইসরায়েলের দাবি
যে ভবনে হামলায় ইয়ামিনের পরিবার নিহত হন সেটি হামাসের ‘সক্রিয় কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার’ ছিল বলে দাবি ইসরায়েলের৷ হামলায় অন্তত চারজন জঙ্গি নিহত হন বলেও জানায় তারা৷