‘গাজায় আন্তর্জাতিক আইন পদদলিত হচ্ছে’
১৮ জানুয়ারি ২০২৪সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে বুধবার গুতেরেস বলেন, যুদ্ধরত সব পক্ষ আন্তর্জাতিক আইনকে ‘অবজ্ঞা করছে’, জেনেভা কনভেনশনকে ‘পদদলিত করছে’ এবং এমনকি জাতিসংঘ সনদেরও ‘লঙ্ঘন করছে'।
‘‘বিশ্ব ওইসব বেসামরিক লোকজনের পাশে আছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু, যাদের হত্যা করা হয়েছে, আহত হয়েছে, বোমা বর্ষণ করা হয়েছে, বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে এবং যাদের কাছে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘‘আমি গাজায় দ্রুত মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে একটি প্রক্রিয়ার কথা বলছি, যা ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য টেকসই শান্তি নিয়ে আসবে।’’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাতিল করে দিয়ে বলেছেন, হামাসকেসম্পূর্ণ পরাজিত না করা এবং গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল থেকে হামাসের ধরে নিয়ে যাওয়া জিম্মিদের উদ্ধার না করা পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে।
৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চলায় হামাস। যার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় তীব্র আকাশ হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরে শুরু হয় স্থল অভিযান। গত প্রায় সাড়ে তিনমাস ধরে চলা এই হামলায় গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই নিজ নিজ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
খাবার, পানি, জ্বালানি ও ওষুধসহ নিত্যপণ্যের মারাত্মক সংকটে গাজায় ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে ত্রাণ কার্যক্রমও ঠিকমত পরিচালিত হতে দেওয়া হচ্ছে না। গাজা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্ত দাঁড়িয়ে আছে বলে আগেই সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
ইসরায়েল শুরুতে গাজার উত্তরাঞ্চলে অভিযান চালায়। গাজা সিটিসহ ছোট্ট এই ভূখণ্ডটির উত্তরের বেশিরভাগ অংশ এখন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। তারা এখন গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অভিযানের দিকে অধিক মনযোগ দিয়েছে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রায় ২৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এসএনএল/এসিবি (রয়টার্স, বিবিসি)