1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজা ভূ-খন্ডে ইসরাইলী সেনা হামলা

২৫ মে ২০০৪

ইসরাইলী সেনাবাহিনী গত সোমবার রাফার শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে সরে গেছে এবং গাজায় তাদের হামলার অবসান ঘটিয়েছে৷ গাজা অন্চলে গত কয়েক বছরের মধ্যে তার বৃহত্তম সৈন্য মোতায়েনের ফলে ইসরাইল কমপক্ষে ৪১ জন ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে- যার তীব্র আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/DQ33
ছবি: AP

গাজা ভূ-খন্ডে প্যালেস্টাইনীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলী সেনাবাহিনী যে বর্বোরোচিত হামলা চালায় তার সমালোচনা করে ইসরাইলের বিচারমন্ত্রী ল্যাপিড বলেন, ধ্বংসস্তুপের ভিতরে একজন প্যালেস্টাইনী মহিলা যেভাবে তাঁর বাড়ি খুঁজতে থাকেন, তা তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁর দাদীর কথা- যিনি Naziদের বন্দীশিবিরে মারা যান বলে ধারণা৷

ইসরাইলী বিচারমন্ত্রী তাঁর এই উক্তির মাধ্যমে হয়তো জানেন না তিনি মন্ত্রীসভায় কী পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন বা কেমন আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন- ইসরাইলের প্রথম মন্ত্রী হিসেবে গাজা এলাকায় ইসরাইলী সেনাবাহিনীর হামলার সমালোচনা করায়৷

ল্যাপিড-এর কথাগুলো ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলী পদক্ষেপ সম্পর্কে ইসরাইলী জনসাধারণের একটা অংশের মনোভাবেরই যে বহিঃপ্রকাশ, তা বলাই বাহুল্য৷ ইসরাইলী সেনাবাহিনী যদিও গাজায় তাদের আক্রমন শেষ করেছে, তথাপি তাদের বর্বরতা কেউ ভুলতে পারবে না৷ তাই তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ হয়েছে ৷ এমনকি, ইসরাইলে টেলিভিশন দর্শকরাও হামলা চালানোর দৃশ্য উপেক্ষা করতে পারেনি৷

গাজায় তথাকথিত রেইনবো অভিযানের বিরুদ্ধে শান্তি আন্দোলন ইসরাইলী প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের সামনে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছে এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে ভাষ্যকাররা সমালোচনা করেছেন আক্রমনের সময় অসামরিক জনসাধারণকে বিবেচনায় না নেওয়ার জন্য এবং টেলিভিশন সাংবাদিকরা তাঁদের রিপোর্টে ইসরাইলী আক্রমনের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছেন আন্তর্জাতিকভাবে৷

ইসরাইলের বিচারমন্ত্রী আশংকা করছেন যে, জাতিসংঘ আমাদের সমালোচনা করবে গাজায় হামলা চালানোর জন্য এবং একজন রাজনৈতিক ভাষ্যকার - যিনি সদ্য তাঁর বিদেশ সফর থেকে দেশে ফিরেছেন, বলেন, বিদেশে জনসাধারণ আমাদের তীব্র সমালোচনা করছে৷

এতে কোন সন্দেহ নেই যে, ইসরাইলের মান মর্যাদা বর্তমানে একেবারে শুন্যের কোঠায়৷ ইসরাইলের বর্তমান নীতি মধ্যপ্রাচ্য- বিষয়ক শান্তিপ্রক্রিয়াকে বিরাট হুমকীর মুখে ফেলেছে৷

এই প্রক্রিয়ার কোন সম্ভাবনাও লক্ষ করা যাচ্ছে না ৷ কারণ, গাজা-ভূখন্ড এবং জর্ডানের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনী যে নতুন প্রজন্ম জন্ম গ্রহণ করছে, তারা ইসরাইলীদের শুধু দেখছে অত্যাচারী হিসেবে৷

এদিকে, ইসরাইলে নেই কোন বিরোধী কন্ঠ৷ ইসরাইলী বিচারমন্ত্রী যেখানে নিজের সরকারের সমালোচনা করছেন, সেখানে বিরোধী নেতা শিমন পেরেস দেখা করেছেন ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল শারনের সঙ্গে মন্ত্রী হওয়ার জন্য, ৮০ বছরেরও বেশি বয়সে৷

দুই সপ্তাহ আগে এই বিরোধী দলই তেল আভিভে ইসরাইলী সরকারের নীতির বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ- বিক্ষোভের আয়োজন করে- যাতে যোগ দেন দেড় লাখ মানুষ৷ এর দুদিন পরেই শুরু করা হয় রেইনবো অভিযান এবং পেরেস কোয়ালিশন আলোচনায় নেতৃত্ব দান করেন৷ ইসরাইলের জনসাধারণের অসুবিধা শুধু তাদের সরকারকে নিয়ে নয়, তার চেয়েও বেশি অসুবিধা তাদের বিরোধী দলকে নিয়ে৷

আবদুস সাত্তার