1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজা : জয়ের লক্ষ্য নিকটেই, দাবি ওলমার্টের

সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়১২ জানুয়ারি ২০০৯

গাজার একেবারে ভিতরে পৌঁছে গেল ইসরায়েলি সেনা৷ হামাসের সঙ্গে চলছে কঠিন সম্মুখসমর৷ ইউরোপে একাধিক ইসরায়েলপন্থী সম্মেলন৷

https://p.dw.com/p/GWH3
গাজার আরও গভীরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঢুকে গেল ইসরায়েলি বাহিনীছবি: picture-alliance/ dpa

ইসরায়েলি রিজার্ভ ফোর্স গাজার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পৌঁছে গেল রবিবার৷ শনিবার আকাশ থেকে লিফলেট বিলি করে ইসরায়েল আগাম জানিয়ে দেয়, হামাসের যাবতীয় ডেরায় তারা হামলা চালাবে, সাধারণ মনুষজন যেন নিজেদের সরিয়ে নেয় ইসরায়েলি টার্গেট থেকে নিরাপদ জায়গায়৷ রবিবার ভোররাত থেকেই ক্রমাগত আক্রমণ শানায় ইসরায়েলি সেনা, বিকেলের দিকে গাজা শহর থেকে প্রচুর ধোঁয়া ও আগুন চোখে পড়ে৷ ইসরায়েল জানায়, তারা তাদের বাছাই করা রিজার্ভ ফোর্স গাজার ভিতরে পাঠিয়েছে, যাদের লক্ষ্যই হল হামাসের অস্ত্রভান্ডার, বাঙ্কার, সুড়ঙ্গ ইত্যাদি ধ্বংস করা৷ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আবু বেনাইহু ইসরায়েলি চ্যানেল টু টিভিকে এক সাক্ষাত্কারে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ভয় পাওয়াতে বা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে নয়, সতর্ক উপায়ে বিজয় হাসিল করতেই এই শেষ পর্যায়ের লড়াইতে এখন ব্যস্ত তাঁদের সেনাবাহিনী৷ ইসরায়েলি সংসদ নেসেটে রবিবার প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট জানান, যুদ্ধ প্রায় শেষ পর্যায়ে তবে আরও সময় লাগবে পূর্ণাঙ্গ বিজয় পেতে৷ ওলমার্ট গতকাল পরাষ্ট্রমন্ত্রী সিপি লিভনি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাকের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন৷ ইসরায়েলি মিডিয়ার অনুমান, হামাসের অবৈধ সুড়ঙ্গগুলি ধ্বংস করতে অচিরেই আরও ব্যাপক মাত্রায় হামলা শানাবে ইসরায়েলি সেনা৷

ওদিকে গাজার অভ্যন্তরে কর্মরত চিকিত্সাকর্মীদের মতে, রবিবারের যুদ্ধে যারা মারা পড়েছে তাদের অর্দ্ধেকেরও বেশী সাধারণ প্যালেস্টিনিয়৷ গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা নয়শোর কাছাকাছি পৌঁছিয়ে যায় রবিবারেই৷ চিকিত্সাকর্মীদের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী গাজায় এ পর্যন্ত আহতের মোট সংখ্যা ৩৬০০৷ হামাসের রকেট হামলায় হতাহতের খতিয়ানে দেখা যাচ্ছে, এ পর্যন্ত তিনজন সাধারণ নাগরিক রকেট হামলায় আহত হয়েছেন আর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়া লড়াইয়ে মোট দশজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে৷ এ তথ্য ইসরায়েল দিয়েছে রবিবার৷

গাজায় ইসরায়েলি সেনা আগ্রাসন বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলন বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দেখা যাওয়ার পাশাপাশি রবিবার ইসরায়েলপন্থী এবং হামাসবিরোধী ইহুদিরা পথে নামেন ইউরোপের বিভিন্ন শহরে৷ জার্মানির রাজধানী বার্লিন ছাড়াও ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং মিউনিখ শহরেও ইসরায়েলপন্থী সমাবেশে পথে নামেন কয়েক হাজার মানুষ৷ লন্ডনে বসবাসকারী ব্রিটিশ ইহুদিদের একটি বিশাল মিছিল রবিবার ট্রাফালগার স্কোয়্যার পরিক্রমা করে৷ তবে ইসরায়েল বিরোধী সবচেয়ে বড়ো জমায়েত এদিন দেখা যায় বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস-এ৷ শহরের কেন্দ্রে এই প্রতিবাদ আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে৷ এর বাইরে মাদ্রিদে গাজায় বসবাসকারী যুদ্ধবিপন্ন প্যালেস্টিনিয়দের সমর্থনে পথে নামেন কয়েক হাজার সবশ্রেণীর মানুষ৷