গাজা অভিযান এখনই থামবে না: নেতানিয়াহু
৩০ অক্টোবর ২০২৩ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েল স্থলসেনা অভিযান চালাচ্ছে। সহজে এই সংঘাত বন্ধ হবে না। রোববার দুপুরেও একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, গাজায় বেসামরিক মানুষ কী অবস্থায় আছে, তার কোনো খোঁজ মিলছে না। ইন্টারনেট পরিষেবাও সম্পূর্ণ ব্যাহত হয়েছে। রোববার রাতে ইসরায়েল সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা ক্রমশ ফিরছে। তবে নেতানিয়াহু জানিয়ে দিয়েছেন, ''পরিস্থিতি খুব সহজে স্বাভাবিক হবে না। গাজার লড়াই শেষ হতে সময় লাগবে।''
এদিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলি জানিয়েছে, পরিস্থিতি ভয়াবহ। গাজা স্ট্রিপে ফিলিস্তিনি নাগরিকেরা কার্যত হামলে পড়েছেন। তারা সকলেই আশ্রয়প্রার্থী। লুটতরাজও শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে গাজায় অবস্থিত জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।
হামাসের দাবি
রোববার হামাস দাবি করেছে, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ এবং অ্যামেরিকা-সহ একাধিক দেশ যে সংগঠনকে সন্ত্রাসী বলে মনে করে, গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েলের সেনার সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। হামাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ''উত্তর গাজায় ইসরায়েল আধুনিক সমরাস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে। হামাসের সৈন্যেরাও বিপুল লড়াই চালাচ্ছে।'' তবে গাজা স্ট্রিপের সম্পূর্ণ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেনি হামাস।
ফিলিস্তিনের মুখপাত্র দাবি করেছেন, সাত হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে গাজা স্ট্রিপে। সংখ্যাটি আরো বাড়তে পারে। এর মধ্যে অসংখ্য নারী এবং শিশু আছে।
নরওয়ের মন্তব্য
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের সংঘাত সমানুপাতিক নয়। তিনি দাবি করেছেন, ৭ অক্টোবর যে ঘটনা ঘটেছিল, তা ভয়াবহ। কিন্তু সেখানে এক হাজার চারশ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, দুইশ জন পণবন্দি হয়েছিলেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ইসরায়েলের আক্রমণে অন্তত আট হাজার বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শহর ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলের এই আচরণ সমানুপাতিক নয়। এর আগেও ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল নরওয়ে। ,তাদের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর রোববার গাজা এবং রাফাহ সীমান্তে সফরে গেছিলেন। ওই আদালতের এক কর্মী নাম প্রকাশ না করে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বোমারু হামলা প্যালেস্তাইনের পরিস্থিতি কার্যত দুর্বিসহ করে তুলেছে।
ইরানের বক্তব্য
দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সংঘাত যত দ্রুত শেষ হয়, ততই মঙ্গল। শুধু তা-ই নয়, তিনি জানিয়েছেন, অ্যামেরিকা মনে করছে, ইরান হামাসকে সমর্থন করছে। কিন্তু ইরান বাস্তবে তেমন কিছুই করছে না।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)