গাজা অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি
২১ নভেম্বর ২০০৬গাজায় গত কয়েক মাসের মধ্যে প্রথম ইসরায়েলী সামরিক আক্রমনে মঙ্গলবার চার ব্যক্তি নিহত হয়েছে ৷ এঁদের মধ্যে রয়েছে উগ্রপন্থী হামাস ইসলামি গোষ্ঠীর একজন সক্রিয় সদস্য এবং সত্তর বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি৷ হামাস এবং প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ থেকে এ কথা জানা গেছে৷ উগ্রপন্থী ফিলিস্তিনিরা আবারো দক্ষিণ ইসরায়েলে রকেট আক্রমন চালায়৷ এই পরিস্থিতিতে মিশর ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐক্য সরকার গঠনে মতপার্থক্য দূর করার লক্ষ্যে মধ্যস্থতা করতে৷
হামাস গোষ্ঠীর মতে, মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলী সৈন্যরা গাজা শহরের সাইতুন এলাকার হাসানিন এর বাড়ি দখল করে৷ সে সময় সেখানে সংঘর্ষ ঘটে৷ ফলে ঐ চার ব্যক্তি মারা যায়৷ হাসানিনকে সমাধিস্থ করার সময় সেখানে জড়ো হয় হাজার হাজার হামাস সমর্থক-যারা প্রতিশোধ গ্রহণের শপথ নেয়৷ ওদিকে, ইসরায়েলী সৈন্যরা তাদের আক্রমন তীব্রতর করে গাজার শহরতলী জেবালিজা এবং লাহিজায়-ফিলিস্তনি প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়া লাহিজা পরিদর্শন করেন৷ তিনি বলেন, মানবিক বর্ম-এই নতুন কৌশলটি হল ফিলিস্তিনি ঐক্যের প্রতীক৷ ইসরায়েলী সৈন্যরা একটি কারখানার ক্ষতি সাধন করে৷ চার ব্যক্তি আহত হয় -এদের মধ্যে রয়েছে অন্তত একজন হামাস-যোদ্ধা৷
গাজা ভূ-খন্ড থেকে কমপক্ষে তিনটি রকেট আক্রমন চালানো হয় ইসরায়েলের স্ডেরেট শহরে৷ উদ্ধার কর্মীদের খবর অনুযায়ী , সেখানে এক আরব গুরুতররুপে আহত হয়েছে৷ একটি রকেট ছোড়া হয় শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনার আরবার এর কনভয় থেকে মাত্র কয়েক শ মিটার দূরে৷ গত সোমবার থেকে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের দিকে কমপক্ষে পঁচিশটি রকেট আক্রমন চালায়৷
এই পরিস্থিতিতে, মিশরের প্রেসিডেন্ট হুসনি মুবারক বলেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি পার্টির সদস্যরা মিশর আসবে৷ সে সময় আমরা চেষ্টা করব তাদের মধ্যেকার মতভেদ দূর করতে-যাতে প্যালেস্টাইনে একটি জাতীয় ঐক্য সরকার গঠিত হতে পারে ফিলিস্তিনি ও হামাস গোষ্ঠীর মাঝে৷ কিন্তু প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এর একজন উপদেষ্টা বলেছেন, হামাসের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের আলোচনা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে৷