গর্ভপাতের অধিকার ফিরে পেতে রাস্তায় নারীরা
গর্ভপাত নিষিদ্ধের আইন পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আটটি অঙ্গরাজ্য৷ সবশেষ সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আলাবামা৷ এই আইনের বিরোধীরা দেশটির সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন৷
গর্ভপাতে নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করে আইন পাস করছে৷ গত সপ্তাহে আলাবামা অঙ্গরাজ্যে সব ধরনের গর্ভপাত বাতিলের একটি বিল পাস হয়েছে৷ এমনকি ধর্ষণ এবং অজাচারেও গর্ভপাত করানো যাবে না৷ ওহাইয়ো, জর্জিয়া সহ কিছু রাজ্য গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহ কিংবা ভ্রুণে হৃদস্পন্দন শনাক্ত হলে গর্ভপাত করানো যাবে না বলে নতুন আইনে উল্লেখ করেছে৷
একটু বেশিই কঠোর
গর্ভপাত নিষিদ্ধকরণ আইন পাসের বিষয়টি রিপাবলিকানদের অন্যতম একটি এজেন্ডা৷ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এর সমর্থক৷ কিন্তু আলাবামা যে আইন করেছে তা অতিরিক্ত কঠোর বলে মনে করছেন তিনিও৷ ধর্ষণ এবং অজাচারের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম না রাখা নিয়ে আপত্তি তাঁরও৷
প্রতিবাদের ঝড়
অঙ্গরাজ্যগুলোতে গর্ভপাত নিষিদ্ধের বিতর্কিত আইন বাতিলের দাবিতে ২১ মে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে৷ এর আয়োজন করেছে ৫০টি সংগঠন৷ সবচেয়ে বড় জমায়েত হয়েছে ওয়াশিংটনে সুপ্রিম কোর্টের সামনে৷
‘শরীর আমার, অধিকার আমার’
নতুন আইন কারণে নারী তার শরীরের উপর অধিকার হারাচ্ছে বলে মনে করেন আন্দোলনকারীরা৷ বিক্ষোভকালে এনিয়ে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্লেকার্ড তারা বহন করেছেন৷ যেমন ছবিতে এক নারীর হাতের প্লেকার্ডটিতে লেখা, ‘‘শরীর আমার, সিদ্ধান্ত আমার, অধিকার আমার, বক্তব্য আমার৷’’
যোগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা
এই আইনের বিরোধিতা করে আসছেন ডেমোক্রেট দলের নেতারা৷ ২১ তারিখের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তাঁদের অনেককেই দেখা গেছে৷ আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশের সুযোগ হাতছাড়া করেননি দলটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও৷ ছবিতে এক আন্দোলকারীর সাথে দেখা যাচ্ছে সিনেটর ক্রিস্টিন গিলিব্র্যান্ডকে৷
‘সেক্স স্ট্রাইক’
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা আইন বাতিলের দাবিতে অভিনব এক প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন অভিনেত্রী ও মি টু আন্দোলনের নেত্রী অ্যালিসা মিলানো৷ যার নাম দিয়েছেন ‘সেক্স স্ট্রাইক’ বা যৌন ধর্মঘট৷ গর্ভপাত নিষিদ্ধ আইন বাতিলের আগ পর্যন্ত পুরুষদের সাথে যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি নারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন৷