বিজ্ঞান প্রযুক্তি
১৪ জুলাই ২০১২ভিন্টিয়েন্সের সবচেয়ে পছন্দের গরুটির নাম পেরি৷ সে দেখতে এতই সুন্দর যে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সে বেশ কয়েকটি পুরস্কারও জিতেছে৷
এই পেরির গলায় দুটো সেন্সর লাগানো রয়েছে৷ এর একটির কাজ হচ্ছে খাবার পরিমাপ করা৷ অর্থাৎ পেরি যদি তার জন্য নির্ধারিত খাবার খেয়ে ফেলে তাহলে ঐ সেন্সরটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেজে উঠে৷ এর ফলে ভিন্টিয়েন্স বুঝতে পারেন যে পেরির খাওয়া শেষ৷ এভাবে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেয়ে থাকে পেরি৷ এতে করে খাবার নষ্ট হয় না বলে জানান ভিন্টিয়েন্স৷
আর দ্বিতীয় সেন্সরটির নাম ‘সেক্স সেন্সর'৷ এর কাজ হচ্ছে পেরি কখন ‘কনসিভ' বা বাচ্চা ধারণের জন্য প্রস্তুত সেটা জানিয়ে দেয়া৷ ভিন্টিয়েন্স বলেন, গরু কখন বাচ্চা ধারণের পর্যায়ে যাচ্ছে কিছু লক্ষণ দেখে সেটা বোঝা যায়৷ সেজন্য অপেক্ষা করে থাকতে হয়৷ কিন্তু কারও যদি অনেকগুলো গরু থাকে তাহলে তার পক্ষে সবার দিকে নজর রাখা সম্ভব নয়৷ সেক্ষেত্রে সেক্স সেন্সরকে কাজে লাগানো যেতে পারে৷
ভিন্টিয়েন্স বলেন, পেরি যখন বাচ্চা ধারণের জন্য প্রস্তুত হয় তখন সেন্সরটি কম্পিউটারে একটা সংকেত পাঠিয়ে থাকে৷ এতে তিনি পেরির অবস্থা বুঝতে পারেন৷ তারপর তিনি নিজেই পশুর জমিয়ে রাখা শুক্রাণু পেরির গর্ভে স্থাপন করে দেন৷ আর এভাবেই তিনি পেরির বাচ্চা উৎপাদন করে থাকেন৷ ক্যানাডা থেকে আগত এসব শুক্রাণুর একেক ফোঁটার দাম প্রায় ২০০ ইউরো, বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য প্রায় বিশ হাজার টাকা৷
ভিন্টিয়েন্স বলেন, ২০টি সেক্স সেন্সর কেনার জন্য তিনি সাড়ে ছয় হাজার ইউরো বা প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা খরচ করেছেন৷ এ হিসেবে একেকটি সেন্সরের দাম পড়ছে প্রায় তেত্রিশ হাজার টাকা৷
উল্লেখ্য, জার্মানিতে এভাবে কৃত্রিম উপায়ে গরুর ছানা উৎপাদন বেশ প্রচলিত একটা ব্যাপার৷ এবং এজন্য অনেক ক্ষেত্রেই সেন্সর ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷
প্রতিবেদন: নাওমি কনরাড / জেডএইচ
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী