গণধর্ষণের শিকার নারীকে দেখে কাঁদলেন ফখরুল
৫ জানুয়ারি ২০১৯একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেয়ায় এক নারীকে রাতের আঁধারে গণধর্ষণের খবর আলোড়ন সৃষ্টি করেছে৷ সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ আওয়ামী লীগের এক স্থানীয় নেতাকেও ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ৷
শনিবার বাংলাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং রাজনৈতিক জোট ঐক্যফ্রন্টের একদল রাজনীতিবিদ গণধর্ষণের শিকার নারীকে দেখতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে যান৷ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, ‘‘দল ও জোটের শরিক নেতাদের নিয়ে শনিবার সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে নোয়াখালীতে যান বিএনপি মহাসচিব৷''
‘‘তিনি প্রথমেই যান নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে; সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নে ধর্ষণের শিকার চল্লিশোর্ধ্ব ওই নারী হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন,'' লিখেছে অনলাইন পত্রিকাটি৷
সেখানে ফখরুল ওই নারীর মাথায় হাত বুলিয়ে আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে ফখরুল বলেন,‘‘বোন, আমরা তোমার পাশে আছি৷ তোমার কোনো ভয় নেই৷ এই নির্মমতার অবশ্যই একদিন বিচার হবে৷ আল্লাহ বিচার করবেন৷''
ধর্ষণের শিকার নারীকে সান্ত্বনা জানাতে গিয়ে মির্জা ফখরুল কেঁদে ফেলেন বলেও লিখেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ সেসময় বিএনপি মহাসচিবকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন ওই নারীর অটোচালক স্বামী৷
ফখরুলের সঙ্গে ঢাকা থেকে নোয়াখালী যাওয়া দলে অন্যান্যদের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকীও ছিলেন৷
এদিকে, ইউটিউবে অসংখ্য মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করে আলোচিত চরিত্র আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমও গণধর্ষণের শিকার নারীকে দেখতে শনিবার নোয়াখালীতে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম৷ এসময় তিনি নির্যাতনকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন৷ সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়ার একটি আসনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন আলম৷ কিন্তু নির্বাচনের দিন প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি এবং জামানতের অর্থ ফেরত চান৷
ভোটকেন্দ্রিক সহিংসতার তদন্তের আহ্বান
বাংলাদেশে ৩০শে ডিসেম্বেরের নির্বাচন নিয়ে স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি লিখেছে, ‘‘আমরা নির্বাচনকেন্দ্রিক সকল ধরনের সহিংসতার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের দ্রুত, স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং কার্যকর তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি৷'' এক্ষেত্রে দোষীদের রাজনৈতিক পরিচয় যা-ই হোক না কেন তাদের বিচারের মুখোমুখি করার কথাও বলা হয়েছে বিবৃতিতে৷
জাতিসংঘের বিবৃতিতে নির্বাচনের পর বিরোধী দলের নেতা-কর্মীসহ সংখ্যালঘুরাও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা বিরোধীদের উপর নিপীড়নের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ সহযোগিতা পাওয়ার ঘটনাও বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বলে লিখেছে প্রতিষ্ঠানটি৷
এআই/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, রয়টার্স)