জার্মানি-তুরস্ক উত্তেজনা
৭ মার্চ ২০১৭গোটা ঘটনাটির সূত্রপাত তুরস্কের আসন্ন গণভোটকে কেন্দ্র করে৷ সে দেশের প্রেসিডেন্ট পদের হাতে বিপুল ক্ষমতা তুলে দিতে সংবিধান পরিবর্তন করতে চান বর্তমান পদাধিকারী রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান৷ তবে শুধু সরকার ও সংসদের অনুমোদন নিয়ে সন্তুষ্ট নন তিনি, এক গণভোটের মাধ্যমে মানুষেরও সমর্থন আদায় করে বিষয়টি পাকাপোক্ত করতে চান৷ এই গণভোটের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত মানসম্মান জড়িয়ে রয়েছে৷ তাই ভোটারদের মন জয়ে প্রচারে কোনো ত্রুটি রাখতে চাইছেন না তিনি৷ জার্মানিতে তুর্কি ভোটারদের সমর্থন আদায় করতে তিনি তাঁর মন্ত্রীদের প্রচারে পাঠাতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু জার্মানির একের পর এক পৌর কর্তৃপক্ষ নির্বাচনি প্রচারের জনসভা বাতিল করে দেওয়ায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এর্দোয়ান৷ জার্মানির বিরুদ্ধে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করে রোষ প্রকাশ করছেন তিনি৷ তাঁর সমালোচকদের বক্তব্য, পশ্চিমা বিশ্বে মত প্রকাশের অধিকার কাজে লাগিয়ে নিজের অগণতান্ত্রিক ক্ষমতা আরও জোরদার করতে চাইছেন এর্দোয়ান৷
এই প্রেক্ষাপটে জার্মানি তথা ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশগুলিতে বিদেশি মন্ত্রীদের নির্বাচনি জনসভা কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে৷ জার্মানিতে কিছু শহরের মেয়র মনে করছেন, এ ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের স্বার্থে তুর্কি মন্ত্রীদের নির্বাচনি জনসভায় বাধা দেওয়া উচিত নয়৷ তাঁদের বক্তব্য আপত্তিকর হলেও তাঁদের মত প্রকাশের অধিকারের মর্যাদা দেওয়া উচিত৷ জার্মানির পৌর সংগঠনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, জার্মানিতে গণতন্ত্র যথেষ্ট শক্তিশালী এবং সহনশীল৷
জার্মানির সবুজ দলের নেতা চেম ও্যজদেমির গণতান্ত্রিক অধিকারের নিরিখে জার্মানি ও তুরস্কের তুলনা করেছেন৷ তাঁর প্রশ্ন, জার্মানিতে চলতি বছর সংসদ নির্বাচনের প্রচারের স্বার্থে তিনি ইস্তানবুলে জনসভা করতে পারবেন কি? সেখানে কি সাংবাদিকরা বিনা বাধায় তাঁদের কাজ করতে পারবেন?
এসবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)