বিএনপির নতুন কমিটির সামনে চ্যালেঞ্জ
২১ জুলাই ২০১৪এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদে সাদেক হোসেন খোকাকেও মেনে নিতে পারছেন না তিনি৷ মির্জা আব্বাস নতুন কমিটির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলকে বাদ দিয়েই রবিবার নতুন কমিটির বৈঠক করেছেন৷ শুধু তাই নয়, ঐ বৈঠকে কমিটিতে যাঁরা তাঁর অনুগত, কেবল তাঁরাই উপস্থিত ছিলেন৷
আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় বৈঠক হয়৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও কমিটির সদস্য বরকত উল্লাহ বুলু, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ৷ তবে ছিলেন না উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাদেক হোসেন খোকা৷
বৈঠকে ঢাকা মহানগরের সকল ইউনিট কমিটির দ্বন্দ্ব নিরসন করে শক্তিশালী কমিটি গঠনের ব্যাপারে আলোচনা হয়৷ আহ্বায়ক কমিটির সকল সদস্যের সঙ্গে বসে আলোচনার ভিত্তিতে অল্প সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷
বৈঠকের বিষয় জানতে চাইলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘‘কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল না৷ যে যার মতো করে দেখা করতে এসেছিলেন৷''শুক্রবার রাতে মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক ও হাবিব উন নবী খান সোহেলকে সদস্য সচিব করে ৫২ সদস্যের ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি৷ এই ৫২ সদস্যের কমিটি ছাড়াও মহানগর তৃণমূলেও রয়েছে ব্যাপক দ্বন্দ্ব৷
ঢাকার এক তৃণমূল বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন বলেন, কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে হলে নগরের বিভিন্ন ইউনিটে যেসব কমিটি হবে সেখানে ত্যাগী নেতাদের স্থান দিতে হবে৷
তিনি বলেন, ‘‘এখন আমরা দেখব কারা পদ পায়৷ তৃণমূলের ত্যাগী নেতারা পদ পেলে আন্দোলন চাঙ্গা হবে৷ আত্মীয়-স্বজন হওয়া বা অন্য কোনো কারণে পদ পেলে কমিটি ভালো হবে না৷''
খিলগাঁও থানা বিএনপির এক নেতা শাহজাহান আলি বলেন, বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে না পারলে নতুন কমিটিও ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷
তিনি বলেন, ‘‘যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ হয় এবং গ্রুপিং-লবিং না থাকে, তাহলে কমিটি কাজ করতে পারবে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কমিটি যদি আব্বাসপন্থি আর খোকাপন্থি হয় তাহলে নিজেরাই কোন্দল করবে, কাজ হবে না৷''