খেতে খেতে সুমো রেসলিং?

২০২২ সাল থেকে জাপানের রাজধানী টোকিওতে চালু হয়েছে একটি রেস্তোরাঁ, যেখানে খাবার খেতে খেতেই দেখা যাবে সুমো রেসলিং৷ এমন পরিবেশনার কথা চাউর হতেই ভিড় জমতে থাকে সেখানে৷

এই পরিবেশনায় চাইলে অতিথি নিজেও কুস্তিগীরদের সাথে লড়তে পারেন৷ সপ্তাহে তিন দিন ৭০ ইউরো (বাংলাদেশি আট হাজার টাকার কিছু বেশি) দামের টিকিট সব বিক্রি হয়ে যায় এমন অভিজ্ঞতার জন্য৷ খাবারের তালিকায় থাকে পাঁউরুটির গুড়োয় মোড়া শুয়োরের মাংসের চপ৷

অনুষ্ঠান শেষ হবার পর চাইলে কুস্তিগীরদের সাথে ছবি তোলা যাবে৷ ৩৫ বছর বয়সি কুস্তিগীর টাকায়ুকি সাকুমা জানান যে মনোরঞ্জনের জন্য তারা কৌতুকও করেন৷ মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণকে সুমো রেসলিঙের প্রতি আকর্ষিত করা৷

ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি বাচ্চা মেয়ে এক সুমো রেসলারকে ধাক্কা দিতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে৷ ২০২২ সালের নভেম্বরে চালু হওয়া এই রেস্তোরাঁটি বাচ্চাদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷

লড়াইয়ের সময় যদি কোনো অতিথি একেবারে আসল সুমো রেসলারের মতো অনুভব করতে চান, তাহলে তিনি ফোলানো সুমো কস্টিউম ও পরচুলাও পরতে পারেন এখানে৷ লকডাউনের পর থেকে লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে এই শিল্পের প্রতি মানুষের আকর্ষণ৷

টোকিওর প্রাণকেন্দ্রে আরাশিও সুমো স্টুডিওর একটি দেয়ালের পুরোটাই কাঁচের৷ সেই দেওয়ালের অন্য পারে প্রতি দিন ভিড় জমান বহু মানুষ, শুধু সুমোর নানা কসরত দেখবার জন্য৷ এর ফলে বেশ কিছু স্টুডিও এখন দলভিত্তিক ট্যুরেরও আয়োজন করেছে৷

গত বছর জাপানের সুমো অ্যাসোসিয়েশন ‘সুমো প্রাইম টাইম’ নামের একটি ইংরেজিভাষী ইউটিউব চ্যানেল শুরু করে৷ কোকুগিকান এরেনাতে হাজার হাজার ভক্তদের সামনে লড়তে আসেন নামীদামী সুমো তারকারা৷ এই টুর্নামেন্ট হয় বছরে তিনবার৷ শুধু কুস্তিগীরদের ওয়ার্মআপ দেখতেও আসেন অনেকে!

সুমো রেসলারদের জীবন অনুশাসন, নিয়ম ও পরিশ্রমে ঘেরা, যার শিকড় রয়েছে বোদ্ধ ও শিনটো ধারায়৷ সুমো রেসলাররা দিন কাটান একটি আলাদা স্থানে, যার নাম ’হেয়া’৷ সুমোর প্রতি পর্যটক ও স্থানীয়দের আকর্ষণ বাড়ায় এই হেয়ারও ট্যুর করা যায়, জানা যায় সুমো রেসলারদের অন্তরমহলের কথা৷