1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খাশগজি হত্যাকাণ্ডে চাপের মুখে সৌদি আরব

২০ নভেম্বর ২০১৮

সাংবাদিক জামাল খাশগজি'র হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান– সিআইএ'র এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তবে সিআইএ নিশ্চিত যে, যুবরাজ সালমানই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী৷

https://p.dw.com/p/38a50
2 Bahrain Außenminister Adel al-Dschubeir bei einer Sicherheitskonferenz in Manama
ছবি: Reuters/H. Mohammed

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের মঙ্গলবার বলেছেন, সাংবাদিক খাশগজি হত্যার দায় যারাই যুবরাজ সালমানের উপর চাপাতে চাইছেন, তাদের কাছে এর কোনো যথার্থ তথ্য প্রমাণ নেই৷ সৌদি পত্রিকা আল সার্ক আল আওসাতকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘যথার্থ তথ্য প্রমাণ না থাকায় রাজপরিবার যুবরাজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘সৌদি আরবের সাম্রাজ্য সম্রাট এবং যুবরাজের নেতৃত্বে চলে এবং তাদের উপর এখন অশনিসংকেত নেমে এসেছে৷ তাই এই সাম্রাজ্যের নেতৃবৃন্দের কারো গায়ে আঁচড় দিতে চাইলে বা তাদের হেয় করতে চাইলে তা বরদাস্ত করা হবে না৷''

মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ রবিবার একটি প্রতিবেদন জমা দেয়৷ প্রতিবেদনে তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, যুবরাজ সালমানের নির্দেশেইজামাল খাশগজিকে হত্যা করা হয়েছে৷ আজই এ বিষয়ে সংস্থাটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে তাদের তথ্য প্রমাণাদি উপস্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

ট্রাম্প এখনো সৌদি যুবরাজের বিপক্ষে কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন৷ তবে ওয়াশিংটন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশগজির হত্যাকারী সন্দেহে ১৭ জন সৌদি নাগরিকের উপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷ এদের মধ্যে যুবরাজের দুই সহযোগীও রয়েছেন৷

গত সপ্তাহে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলী যুবরাজ সালমানকে নির্দোষ দাবি করে ২১ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন৷ তিনি বলেছিলেন, এ পর্যন্ত ১১ জন ব্যক্তিকে খাশগজি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত করা হয়েছে৷ এদের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতে পারে৷ 

সোমবার ১৮ জন সন্দেহভাজন হত্যাকারীর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জার্মানি৷ একইদিনে ফ্রান্স জানিয়েছে, তারাও  নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)