শিরোনামে ‘নাশকতা’ থাকলেও অডিওতে নেই!
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার হওয়া অডিওগুলো বছরখানেক আগে ইউটিউবে আপলোড করা হয় ‘বাংলালিকস' নামক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে৷ অডিওগুলোর শিরোনাম ‘খালেদা জিয়ার নাশকতামূলক কর্মকান্ডের নির্দেশনা'৷ চটকদার এই শিরোনাম যেকারো নজর কাড়লেও কথিত অডিওগুলো শুনে খালেদা জিয়া নাশকতামূলক কর্মকান্ডের কোন নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা, সেটা নিশ্চিতভাবে বলার সুযোগ নেই৷
কে বা কারা এসব ফোনালাপ রেকর্ড করে ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছে, তা জানা যায়নি৷ তবে প্রকাশিত কথিত কথোপকথনে বিএনপি নেত্রী তাঁর নেতাকর্মীদের ভৎর্সনা করেছেন, রাস্তায় লোক নামাতে নির্দেশ দিয়েছেন৷ তবে কোন অডিওতেই নাশকতা কিংবা হামলা শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়নি৷ সুনির্দিষ্টভাবে কোথাও কিংবা কারো উপর হামলা বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের কথাও নেই৷
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, ‘‘চার বছর আগে ঢাকায় বিএনপির একটি সমাবেশের সময় দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কয়েকটি টেলিফোন সংলাপের অডিও টেপ ঘুরছে ইউটিউবে, যাতে তাকে নেতাদের নানা নির্দেশ দিতে শোনা যায়৷''
সাংবাদিক নির্যাতন
এদিকে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এক সাংবাদিককে পিটিয়েছে পুলিশ৷ সাংবাদিক প্রভাষ আমিন ফেসবুকে এই বিষয়ে লিখেছেন, ‘‘রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় পুলিশের দুই সদস্য এক মোটর সাইকেলে যাচ্ছিলেন এবং তারা দায়িত্বরত ছিলেন না৷ ইংরেজি দৈনিক নিউজ এজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক নাজমুল হুদা বিষয়টি দেখে ছবি তোলেন৷ তাতেই ক্ষেপে যায় ঐ দুই পুলিশ৷ তারা নাজমুল হুদা এবং সঙ্গে থাকা তার বন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খায়রুজ্জামান শুভকে আটক করে বেদম মারথধোর করে৷ তাদের নিয়ে যাওয়া হয় রমনা থানায়৷''
আমিন লিখেছেন, ‘‘আবারও প্রমাণিত হলো, কারো কারো জন্য আইন বেশি সমান৷ পুলিশতো আইন রক্ষার জন্য, পালন করার জন্য নয়৷''
আরেক সাংবাদিক সওদুদ আহমেদ সুমন লিখেছেন, ‘‘পুলিশের পৈশাচিক নির্যাতন থেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও রক্ষা পায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টার৷ তার একমাত্র অপরাধ সে সাংবাদিক৷ আইন অমান্য করে মোটরসাইকেল চালানোর ছবি তোলায় রমনা থানার এসআই মেহেদি হাসান সুমন তার উপর চড়াও হয়৷ ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতন শেষে গাড়িতে নেয়ার সময় বুট, অস্ত্রের বাট দিয়ে নির্যাতন অব্যাহত রাখে৷ থানায় নিয়ে কাস্টডির মধ্যেও অমানুষিক নির্যাতন চালাতে থাকে৷''
উল্লেখ্য, অবরোধের সময় নাশকতা এড়াতে কয়েকদিন আগে বাংলাদেশে মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া অন্য কোন যাত্রী বহন নিষিদ্ধ করা হয়৷ অভিযোগ রয়েছে, সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা এই আদেশ মানছেন না৷ আর পুলিশও বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে৷
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ