খালেদাকে গ্রেপ্তারের হুমকি
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫জাসদ ও শ্রমিক জোটের নেত্রী শিরীন আখতার খালেদা জিয়াকে বলেছেন, ‘‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনি অবরোধ-হরতাল তুলে নিন৷ নইলে আপনি এই কার্যালয়ে থাকতে পারবেন না৷ আপনাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হবে৷''
এ বিষয়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু অমানিশা বলেছেন, ‘‘সরকারের সময় ঘনিয়ে আসছে৷ তাই এখন তারা মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করবে৷ খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করলে হয়ত দেশের পরিণতি আরও খারাপ হবে, নয়ত আন্দোলনে ভাটা পড়বে৷ তবে আমার মনে হয়, প্রথমটিই হবে৷ কারণ এতদিন খালেদা জিয়াকে নিষ্ক্রিয় করেও আন্দোলন দমাতে পারেনি বিনা ভোটের সরকার৷
মো. ইয়াকুব আলি জানিয়েছেন, ‘‘শাজাহান খানদের মতো লোকেরা রাজনীতিতে আসার কারণে রাজনীতি কলুষিত হয়েছে৷''
শিয়াম রহমান বলছেন, ‘‘শেষ অস্ত্র এখন বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা৷ এটা করলে কি দেশ ও জাতি তা মেনে নেবে? কখনো তা মেনে নেবে না...৷''
অন্যদিকে বাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘‘অবশ্যই হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীর হুকুমদাতাকে শাস্তির আওতায় আনা হোক৷''
রাতুল হাসানের কথায়, ‘‘এমন একটা দেশে আমরা বসবাস করছি যে দেশে গণতন্ত্র নেই৷ আজ আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা হারিয়েছি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া আজ ঠিকমত লিখতে পারছে না৷ ফেসবুকে কথা বললে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, সরকারের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো কথা বললে জেলে যেতে হয়৷ তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীও আজ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত৷....আমরা কি এই অবস্থা থেকে কোনোদিন মুক্তি পাবো না? আমাদের সোনার বাংলা ধীরে ধীরে যে শ্মশানে পরিণত হচ্ছে৷ এমন বাংলাদেশ দেখার জন্য কি শেখ মুজিব দেশ স্বাধীন করেছিলেন?''
মোরশেদ সোহাগ একটু বক্রোক্তি করেই লিখেছেন, ‘‘আমাদের গণতন্ত্র এবার বিশ্বে গণতন্ত্রের চমৎকার সংজ্ঞা দিচ্ছে, হোক তা উৎকৃষ্ট অথবা নিকৃষ্ট৷''
খান রাহাত রহমানের বক্তব্য, ‘‘সরকারের উচিত বিএনপি আর জামায়াতকে বাদ দিয়ে দেশের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া এবং তাদের কাছ থেকেই মতামত নেয়া যে কী ভাবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা যায়? কী ভাবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা যায় এবং কেমন হওয়া উচিত নির্বাচনকালীন সরকার৷''
আরাফাত সৈয়দ লিমন লিখেছেন, ‘‘গণতন্ত্র চাই, স্বৈরাচার না৷ দেশের এই পরিস্থিতির জন্য হাসিনা দায়ী৷''
সাজ্জাদুর রহমান লিখছেন, ‘‘আমাদের দেশে আসলেই মানুষজন দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে৷ এতে পরস্পরের প্রতি ঘৃণা দিন দিন এত বেড়ে যাচ্ছে যে পরস্পর পরস্পরকে নিশ্চিহ্ন করতে চাইছে৷ কিন্তু এদের ভিতর সংলাপ না হলে দেশের সাধারণ মানুষরাই বিপদে পড়বে৷ যে যাই করে থাকুক, ঘৃণা তো সারাজীবন বা দিনের পর দিন থাকতে পারে না!''
আবার শেখ ফরিদ খান তামিমের কথায়, ‘‘...খালেদা আর হাসিনা সরকার কেউ-ই ভালো নেই৷ তাই সাধারণ মানুষের উচিত হাসিনা আর খালেদা – দু'জনকেই পদচ্যুত করার জন্য সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়া৷ নয়তো বাংলাদেশে কখনো শান্তি আসবে না৷ আর কষ্টে ভুগে মরতে হবে ঐ সাধারণ মানুষকেই৷''
সংকলন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন