খালেদা, তারেকের নেতৃত্বের পথও আপাতত বন্ধ
৩১ অক্টোবর ২০১৮দুর্নীতির দু'টি মামলায় দশ এবং সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার৷ গত আট মাস ধরে তিনি কারাবন্দি৷ তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানেরও দুর্নীতির দু'টি মামলায় সাত ও দশ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে৷ এছাড়া ২১শে আগস্ট মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে তার৷ এ সব দণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন৷ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় ন্যূনতম দুই বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য৷ তবে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এবং উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া যায়৷ দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির এভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার নজির আছে বাংলাদেশে৷
বিএনপির গঠনতন্ত্রে ন'মাস আগেও দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত ব্যক্তিদের দলীয় কমিটিতে না রাখার বিধান ছিল৷ কিন্তু এক সংশোধনীর মাধ্যমে তা বাদ দেওয়া হয়৷ মোজাম্মেল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বিএনপির গঠনতন্ত্রের ওই সংশোনীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন৷ এক আদেশে ওই আবেদন এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছে হাইকোর্ট৷
সেই সঙ্গে ওই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করার জন্যও নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, গঠনতন্ত্র সংশোধনের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মোজাম্মেল হোসেনের করা রিট আবেদনটির প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন এই আদেশ দিয়েছে৷
এ আদেশের ফলে ন'মাস আগে আনা গঠনতন্ত্রের ওই সংশোধনী আপাতত কার্যকর থাকছে না৷ সুতরাং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দলীয় নেতৃত্বে রাখা এবং নির্বাচনে তাদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ আপাতত থাকছে না৷
এসিবি/ডিজি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)