খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে দ্রুত জানানো হবে:আইনমন্ত্রী
৬ মে ২০২১ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজকে আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়ার সাজা ও দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছিল৷ দুটি নির্দিষ্ট শর্তে তাকে সাময়িক মুক্ত দেওয়া হয়েছিল৷
"যেহেতু এখানে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা সম্পাদন হয়ে গেছে, এরপর এটাকে আবার ওপেন করার স্কোপ আছে কিনা; সেটা দেখে আমাদের অভিমত যথাশীঘ্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিব ৷''
আইন মন্ত্রণালয়ে খালেদার পরিবারের আবেদনের বিষয়ে দাপ্তরিক কাজ শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে মন্ত্রীর গুলশানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নথি নিয়ে যান আইন সচিব গোলাম সারওয়ার৷
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এখন ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন৷
দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যাওয়ার পর গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলে পরিবারের আবেদনে সরকার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়৷
৭৬ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সে সময় শর্তে দেওয়া হয়, মুক্ত থাকার সময়ে তাকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না৷
এখন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে আবেদন করেছে তার পরিবার৷ বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশে যাওয়ার আবেদন নিয়ে তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন৷ পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রাতেই তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় মতামতের জন্য৷
আইনমন্ত্রী বলেছেন, "যে শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা হয়েছিল, তা শিথিলের সুযোগ আছে কিনা, তা এখন তারা দেখবেন৷ আইনমন্ত্রী বলেছেন, "খালেদা জিয়ার বিষয়টি সরকার মানবিকভাবেই দেখছে৷''
অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বিডিনিউজকে বলেন, "আমরা মতামত দিলে সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সামারি হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে৷ এবং আইনমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিলে, বাকিটা হবে ৷''
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)