1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খালি হাতে দেশে ফিরলেন এর্দোয়ান

১০ মার্চ ২০২০

তুরস্ক সীমান্তে শরণার্থী সংকটের মাধ্যমে ব্রাসেলসের উপর চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট৷ সোমবার ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তেমন কোনো সমাধানসূত্র উঠে আসে নি৷

https://p.dw.com/p/3Z7tV
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান
ছবি: AFP/J. Thys

সিরিয়ায় বেকায়দায় পড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর কাছে সাহায্য চেয়ে বিফল হয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান৷ চাপ বাড়াতে তিনি গত ২৯শে ফেব্রুয়ারি ইউরোপে শরণার্থীদের প্রবেশের পথ খুলে দিয়েছিলেন৷ ফলে গ্রিস সীমান্তে নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷ গ্রিসের বেশ কয়েকটি দ্বীপেও শরণার্থীর ঢল নামে৷ দুই পক্ষের মুখরক্ষা করে বর্তমান সংকট কাটানোর উদ্যোগের আওতায় সোমবার ব্রাসেলসে ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট৷ তবে ইইউ ও ন্যাটোর কাছ থেকে কোনো ছাড় আদায় করতে পারলেন না তিনি৷

ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্কের সঙ্গে শরণার্থী চুক্তি চালু রাখার পক্ষে সওয়াল করেছে৷ এই মর্মে বর্তমান চুক্তি এখনো বৈধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন৷ স্থির হয়েছে, এই চুক্তির মূল্যায়ন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বর্তমানে যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে, তা দূর করতে ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এক বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে কাজ করবেন৷ ইইউ সরকার পরিষদের প্রেসিডেন্ট শার্ল মিশেল ও কমিশনের প্রেসিডেন্ট ফন ডেয়ার লাইয়েন এর্দোয়ানের সঙ্গে আলোচনা সম্পর্কে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন৷ তবে সংকটের সমাধানসূত্র হিসেবে তাঁরা কোনো স্পষ্ট ফলাফল দেখাতে পারেন নি৷ এমনকি সোমবার কোনো সংবাদ সম্মেলনে এর্দোয়ান উপস্থিত ছিলেন না৷ দুই পক্ষের মধ্যে শীতল সম্পর্ক ঢেকে রাখার কোনো প্রচেষ্টা এ দিন দেখা যায় নি৷

সোমবার এর্দোয়ান ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টল্টেনবার্গের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন৷ তিনি মোট দশটি অনুরোধের তালিকা পেশ করেন৷ সরাসরি সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযানে সহায়তার প্রত্যাশা না করলেও তিনি চান তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ন্যাটোর আরও বিমান ও ড্রোন মোতায়েন করা হোক৷ ভূমধ্যসাগরের পূর্বাংশে আরও রণতরী পাঠানোরও অনুরোধ করেছেন এর্দোয়ান৷ স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ন্যাটো বর্তমানে তুরস্কের সহায়তা করছে, ভবিষ্যতেও এমনটা করে যাবে৷ অর্থাৎ তুরস্ককে নতুন কোনো সহায়তার আশ্বাস দেন নি ন্যাটোর মহাসচিব৷

মোটকথা এর্দোয়ান খালি হাতেই দেশে ফিরেছেন বলে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন৷ ইইউ ও ন্যাটোও তুরস্কের কাছ থেকে তেমন কোনো ছাড় আদায় করতে পারে নি৷ তবে সর্বোচ্চ স্তরে সংলাপ চালু থাকায় অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন৷

ব্রাসেলসে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বজায় থাকলেও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী তুরস্কের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়েন নি৷ বার্লিনে এক অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিতে এসে কিরিয়াকস মিটসোটাকিস স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যে গ্রিস ও ইইউ তুরস্কের ‘ব্ল্যাকমেল'-এর সামনে নতি স্বীকার করবে না৷ তাঁর অভিযোগ, তুরস্ক হাজার হাজার শরণার্থীকে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীতে পরিণত করছে৷ এমন পরিস্থিতিতে ইইউ-র বহির্সীমানার সুরক্ষা জোরদার করতে হবে, বলেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, কোনো অবস্থাতেই ২০১৫ সালের শরণার্থী সংকটের পুনরাবৃত্তি হবে না৷ তিনি বলেন, ‘‘২০২০ মোটেই ২০১৫ হতে পারে না৷'' তুরস্কের পদক্ষেপ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়, বলেন জার্মান চ্যান্সেলর৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)