1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খাদ্যদ্রব্যে নিরাপত্তা

মার্টিন কখ/আরবি২৪ জানুয়ারি ২০১৪

লাজানিয়ায় ঘোড়ার মাংস, জৈব ডিমে ডায়োক্সিন, পানীয় জলে লিজোনেলা ব্যাকটেরিয়া অথবা আরশোলা – খাদ্যদ্রব্য নিয়ে এইসব কেলেঙ্কারি ভোক্তাদের আতঙ্কিত করে তোলে৷ তবে শুধু কেলেঙ্কারিই নয়, এইসব প্রতিরোধ করা প্রায় অসম্ভব বলে মনে হয়৷

https://p.dw.com/p/1Aw9t
ছবি: picture-alliance/dpa

তুর্কি ড্যোনার কাবাবের দোকান কিংবা মাছের রেস্তোরাঁ বা সুশি-বার – প্রায় সব ভোজনশালাতেই খাদ্যের স্বাস্থ্য ও গুণগত মানের দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়৷ বাইরে থেকে অনেক কিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মনে হলেও পর্দার অন্তরালে দৃষ্টি দিলে অনেক সময় শিউরে উঠতে হয়৷

এ কারণে প্রতিবছর খাদ্যনিয়ন্ত্রকরা বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানের পরিবেশ ও কার্যকলাপ খুঁটিয়ে দেখেন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন৷

ভোক্তাদের উদ্বিগ্ন করে

অনেক সময় তাঁরা যা আবিষ্কার করেন তা ভোক্তাদের উদ্বিগ্ন করার পক্ষে যথেষ্ট৷ এ থেকে বোঝা যায় খাদ্যের স্বাস্থ্যগত মানের দিক দিয়ে জার্মানি মোটেও আদর্শ স্থানে নেই৷

গত বছর নিয়ন্ত্রকরা চার ভাগের এক ভাগ প্রতিষ্ঠানে ঘাটতি ও বিচ্যুতি আবিষ্কার করেছেন৷ চোখের আড়ালে থাকা সংখ্যাটা আরো বেশি হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ প্রসঙ্গত বলা যায় মাত্র ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এই ধরনের পরীক্ষার সম্মুখীন হয়৷

খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অভাব

এর মূল কারণ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অভাব৷ পর্যাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিয়োগ দেওয়ার মতো অর্থ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নেই৷ ফেডারেল খাদ্য নিয়ন্ত্রণ সমিতির প্রেসিডেন্ট মার্টিন ম্যুলার মনে করেন, ‘‘অর্থের অভাব হলো সমস্যার একটি দিক৷ তবে এর সাথে যুক্ত হয়েছে দেশীয় অর্থনীতিকে রক্ষা করার একটা প্রবণতা৷ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, দোকান ইত্যাদিতে কর্মসংস্থানও হয় প্রচুর৷ তাই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অস্বস্তিকর বিষয়গুলিকে পেছনে সরিয়ে দেওয়া হয়৷''

Dioxin / Labor / Chemie / Futtermittel
খাদ্যনিরাপত্তার ব্যাপারে শুধু নিয়ন্ত্রকদেরই নয়, ভোক্তাদেরও দায়িত্ব রয়েছেছবি: dapd

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ পড়ে

ভোক্তাসুরক্ষা কেন্দ্রগুলি সমালোচলা করে বলে, এক্ষেত্রে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ করা হয় না বলে অবস্থার পরিবর্তনও হয় না৷ তাই প্রতিবছর একই রকম চিত্র দেখা যায়৷ ভোক্তারক্ষা কেন্দ্রের ইউটা ইয়াকশে বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ পড়ে যায়৷ আজকের এই বিশ্বায়নের যুগে খাদ্য উৎপাদন সংক্রান্ত সব কিছু লক্ষ্য করা স্থানীয় পর্যায়ে লক্ষ্য করা সম্ভব নয়৷ এ জন্য প্রয়োজন সামগ্রিক দৃষ্টি দেওয়া৷ দায়িত্বভার ও ব্যয়ভার নতুন করে নির্ধারণ করতে হবে৷ কেন্ত্রীয় সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে৷ এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন কঠোর আইনকানুন ও এর বাস্তবায়ন৷

পরিপূরক হিসাবে কাজ করে

ম্যুন্সটার শহরে অবস্থিত এক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এক্ষেত্রে পরিপূরক হিসাবে কাজ করে থাকে৷ সাহায্য করে সচেতনতা বাড়াতে৷ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফ থেকে কসাইখানা, ক্যান্টিন ও রেস্তোরাঁর কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ খাদ্যও স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়৷ লক্ষ্য করা গেছে, খাদ্যদ্রব্যের প্রতিষ্ঠানগুলি এক্ষেত্রে নিজেরাই আগ্রহ দেখাচ্ছে৷ প্রশিক্ষণের খরচাপাতি তারা নিজেরাই বহন করে৷ এটা একটা ভালো বিনিয়োগ৷ এতে করে সরকারি নিয়ন্ত্রক সম্পর্কে ভয় ভীতিও অনেকটা দূর হয়, মনে করেন সংশ্লিষ্টরা৷

ভোক্তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে

খাদ্যনিরাপত্তার ব্যাপারে শুধু নিয়ন্ত্রকদেরই নয়, ভোক্তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে, বলেন খাদ্য নিয়ন্ত্রক ম্যুলার৷ ভোক্তারা সেইসব দোকানপাট থেকেই খাদ্যদ্রব্য কিনতে পারেন, যেখানে স্বাস্থ্য ও গুণগত মানের ওপর জোর দেওয়া হয়৷ অবশ্য এ জন্য তাঁদের সেই সব প্রতিষ্ঠানগুলি স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পর্কেও জানতে হবে ৷ তার জন্য ক্যানাডা ও ডেনমার্কের মতো ট্রান্সপারেন্সি সিস্টেমের প্রবর্তন করা যায়৷ সেখানে খদ্দেরদের এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ বাতি কিংবা পিক্টোগ্রামের সাহায্যে জানানো হয় কোন প্রতিষ্ঠানের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মান কীরকম৷ একটি সবুজ চিহ্ন কিংবা হাসিমুখ দেখলে বোঝা যাবে, সব কিছু এখানে চমৎকার৷ লাল চিহ্ন বা কাঁদো কাঁদো মুখ দেখলে বোঝা যাবে স্বাস্থ্য কিংবা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে তেমন মাথা ঘামানো হয় না সেখানে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য